Beanibazarview24.com
শনিবার আসামের চূড়ান্ত নাগরিক তালিকা (এনআরসি) প্রকাশ করা হয়েছে। আর এনআরসি তালিকা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে।
এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে কংগ্রেস দলের সংসদ সদস্য অধীর রঞ্জন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন,‘আমার বাবা বাংলাদেশি ছিল, আমাকেও বের করে দিন।’
এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর দিল্লির বিজেপি সভাপতি মনোজ তিওয়ারি দিল্লীতেও এনআরসি তালিকা করা হবে বলে জানিয়েছেন।
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ত্রুটিমুক্ত এনআরসি তালিকা তৈরিতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে কড়া সমালোচনা করেছেন আসামের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। তিনি বলেন,‘এনআরসি যে প্রক্রিয়ায় তালিকা প্রকাশ করে তাতে আমি অখুশি। অনেক ভারতীয়র নাম বাদ পড়েছে।’
তিনি অভিযোগ করেছেন, সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে কেন্দ্র। অনেক বিদেশির নাম এনআরসি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলেও দাবি করেছেন। এ কারণে বেশি সমস্যা তৈরি হবে বলে আশক্সক্ষা প্রকাশ করেন।
অল অসম স্টুডেন্ট ইউনিয়ন (আসু) অভিযোগ করেছে, এনআরসি তালিকা ত্রুটিপূর্ণ। তারা এ তালিকার বিরুদ্ধে সুপ্রীম কোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ার দিয়েছে।
এক সাংবাদিক সম্মেলনে আসুর সাধারণ সম্পাদক লুরিনজ্যোতি গগৈ জানান, এনআরসি এর চূড়ান্ত তালিকায় আমরা খুশি নই। এটি অসম্পূর্ণ এনআরসি হয়েছে। তালিকাটি ত্রুটিমুক্তির দাবিতে সুপ্রীম কোর্টে যাব।
ইউনিয়ন জানায়, এনআরসি থেকে বাদ পড়ার সংখ্যা অপ্রত্যাশিত। যা ভাবা হয়েছিল তা থেকে অনেক কম বাদ পরার দাবি আসুর। ভারতের অনেক প্রকৃত নাগরিকের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি।
উল্লেখ্য, আসাম রাজ্য থেকে বিদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বিতাড়নের জন্য তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর সময়ে অসম চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, তার অন্যতম সদস্য ছিল আসু।
ভারতের সুপ্রীম কোর্টের নির্দেশে শনিবার আসামে জাতীয় নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়। চূড়ান্ত তালিকা থেকে ১৯ লাখ মানুষের নাম বাদ যায়। মোট ৩.১১ কোটি মানুষের নাম তালিকায় নথিভুক্ত করা হয়েছে। গত বছর প্রকাশিত খসড়া তালিকায় ৪০ লাখ মানুষের নাম বাদ পড়েছিল।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.