Beanibazarview24.com
কাশ্মীরে মুসলমানদের উপর নি’র্মম অ’ত্যাচার-হ’ত্যায’জ্ঞ চলছে। পুরো বিশ্ব থেকে কাশ্মীরকে বিচ্ছি’ন্ন করে দেয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন, হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা হাফেজ জুনায়েদ বাবুনগরী।
তিনি বলেন ঘর থেকে নারী-শিশুদেরও বের হতে দিচ্ছে না। মানবতা বিরো’ধী অ’পরাধ চলছে। নরেন্দ্র মোদি এবার ক্ষমতায় এসে ভারতে হিন্দুত্ববাদকে বেপ’রোয়া করে তুলেছে। মোদি কোন মানুষ নয়; একজন জা’লিম, এ যুগের ফেরাউন, গা’দ্দার, জ’ঙ্গী।
আজ সোমবার বিকেলে ‘কাশ্মীরে ভারতীয় আগ্রাসন; অত্যাচার-নি’র্যাতন ব’ন্ধ এবং কাশ্মীরি স্বাধীনতার দাবীতে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি ইসলামী আইন বাস্তবায়ন কমিটি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আল-জামিয়া বাবুনগরের মুহতামিম ও দেশ বরেণ্য আলেমেদ্বীন আল্লামা শাহ মুহাম্মদ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর সভাপতিত্বে ফটিকছড়ি কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন শায়খুল হাদীস আল্লামা মুফতি মাহমুদ হাসান।
মাওলানা সলিম উদ্দীন দৌলতপুরী ও মাওলানা আবু মাক্নুন মুহাম্মদ বাবুনগরীর সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন, হেফাজতের সহকারী সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হাবিবুল্লাহ আজাদী, নানুপুর ওবাইদিয়ার শায়খুল হাদীস মাওলানা কুতুব উদ্দীন, মাওলানা জুনায়েদ বিন জালাল, মাওলানা আইয়ুব বাবুনগরী, মাওলানা আব্দুর রহিম ইসলামাবাদী, মাওলানা আমির উদ্দীন, মাওলানা আবু সাঈদ, মুফতি শওকত বিন হানিফ প্রমূখ।
আল্লামা হাফেজ জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, আমাদের সংবিধান বলে- যারা মানুষের উপর জু’লুম করে; তাদের পক্ষে আমরা থাকতে পারি না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আহবানে সাড়া দিয়ে স্বাধীনতাকামী মানুষ যু’দ্ধ করে এদেশ স্বাধীন করেছে। তাদের যেমনি আমরা কখনো সন্ত্রা’সী বলতে পারি না; তদরুপ কাশ্মীরি স্বাধীনতাকামী মুসলমানরাও কখনো সন্ত্রা’সী হতে পারে না।
পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুক; তারা মুসলমান হিসেবে আমাদের ভাই। মজ’লুম হিসেবে তাদের পাশে দাড়ানো; সংহতি ও প্রতিবাদ জানানো আমাদের ঈমানী দায়িত্ব। আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই- কাশ্মীর ভূ-খন্ডের স্বায়ত্ব শাসন ফিরিয়ে দিতে হবে। অন্যথা বিশ্বব্যাপী তৌহিদী জনতা কাশ্মীরি স্বাধীনতার পক্ষে জি’হাদে শা’মিল হবে।
সভাপতির বক্তব্যে আল্লামা শাহ মুহাম্মদ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, আমাদের দেশের কেউ কেউ বলছে- কাশ্মীর নিয়ে আমরা কেন সোচ্চার? এর উত্তরে বলতে হয়- মোদির বিজেপির ল’ক্ষণ খারাপ। তারা আমাদের সিলেট পর্যন্ত দাবী করছে; আমাদের দেশ নিয়ে চক্রা’ন্ত করছে। এ জন্যই আমরা মাঠে নেমেছি। আজকে আগু’ন জ্ব’লা শুরু হলো। তৌহিদী জনতা প্রস্তুতি নিন।
আমাদের দিকে আঙ্গুল হেলানো হলে ঝাপিয়ে পড়তে হবে। মোদিকে স’র্তক করছি; ভারত আমাদের দেওবন্দের আন্দো’লনের ফসল। মুসলমানদের নিয়ে বেশী ছিনিমিনি খেললে ওলামায়ে দেওবন্দ রাস্তায় নেমে পড়বে। তখন সামাল দেয়া সম্ভব হবে না। ভারত খান খান হয়ে যাবে।
পরে ফটিকছড়ি ইসলামী আইন বাস্তবায়ন কমিটির ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল ‘কাশ্মীরি জনতার পক্ষালম্বনের জন্য’ ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.