Beanibazarview24.com
ইন্টারনেটে আন্তর্জাতিক বার্তাসংস্থা জার্মানীর ডয়চে ভেলে কর্তৃক প্রচারিত দেড় মিনিটের একটি ভিডিওতে দেখা যায় রোহিঙ্গা তরুণী রহিমা আকতার ওরফে রাহী খুশির উখিয়ার কুতুপালং শরনার্থী শিবিরে একটি এনজিওর কর্মী হিসেবে তার স্বদেশী রোহিঙ্গাদের সাক্ষাতকার নিচ্ছেন।
ভিডিওটিতে উল্লেখ করা হয়, ১৯৯২ সালে রোহিঙ্গা তরুণী রহিমা আকতার ওরফে রাহী খুশির পরিবার একইভাবে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছিলো। সেখানে বলা হয়,রোহিঙ্গা শরনার্থীদের সন্তানরা বৈধভাবে বাংলাদেশের কোনো স্কুলে পড়তে পারে না। তাই রোহিঙ্গা পরিচয় লুকিয়ে এবং ঘুষ দিয়ে কক্সবাজারের একটি স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন খুশি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রোহিঙ্গা পরিচয় লুকিয়ে এবং ঘুষ দিয়ে ভর্তি হওয়া সেই স্কুলটি হলো,কক্সবাজার শহরের বৈল্যাপাড়ার বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমি।
জানা গেছে, খুশি কক্সবাজার বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমি থেকে এসএসসি ও কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। বর্তমানে তিনি কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী। কক্সবাজারের ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে এলএলবি অনার্স পড়ছেন।
তবে বিভিন্ন পত্রিকা এবং সামাজিক মাধ্যমে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আইন অনুষদে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী রহিমা আক্তার খুশির জাতীয়তা ও নাগরিকত্ব নিয়ে লেখালেখি শুরু হলে বিষয়টি নজরে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।
সেই প্রেক্ষিতে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের এক জরুরি সভার সিদ্ধান্তক্রমে খুশির বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ যাচাইবাছাই করার জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়।
তদন্ত কার্যক্রম চলাকালীন রহিমা আক্তার খুশির ছাত্রত্ব সাময়িকভাবে স্থগিত করার বিষয়ে একাডেমিক কাউন্সিলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তদন্ত কমিটির রিপোর্টের আলোকে রহিমা আক্তার খুশির বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.