Beanibazarview24.com
ভারতীয় সে’নাবাহিনীর বিরুদ্ধে ‘বি’ভ্রান্তি’কর’ তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) সাবেক শিক্ষার্থী ও কাশ্মিরি অ্যাক্টিভিস্ট শেহলা রশিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রো’হের মা’মলা দায়ের করা হয়েছে। কাশ্মিরিদের ওপর নৃশং’সতা চালাচ্ছে সে’নাবাহিনী, এমন অভিযোগ এনে ১৮ আগস্ট একাধিক টুইট করেন তিনি।
তবে এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে সে’নাবাহিনী। এ ঘটনায় শুক্রবার দিল্লি পু’লিশের স্পেশাল সেলে শেহলার বিরু’দ্ধে রাষ্ট্রদ্রো’হ মা’মলা করা হয়। দেশটির সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের ঘোষণার মধ্য দিয়ে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশা’সন ও বিশেষ অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। জম্মু-কাশ্মিরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করতে পার্লামেন্টে পাস হয় একটি বিলও। এই পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে কাশ্মিরজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে বিপুলসংখ্যক অতিরিক্ত সে’না। ইন্টারনেট-মোবাইল পরিষেবা ব’ন্ধ রাখা হয়েছে। গ্রে’ফতার করা হয়েছে সেখানকার বিপুলসংখ্যক স্বাধীনতাপ’ন্থী ও ভারতপ’ন্থী রাজনৈতিক নেতাকে।
শেহলা রশিদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪-এ ধারায় দেশদ্রো’হিতা, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে হিং’সা ছড়ানোর দায়ে ১৫৩, ১৫৩-এ, ৫০৪ এবং ৫০৫ ধারায় অ’ভিযোগ দায়ের করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অলোক শ্রীবাস্তব। সেই সঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তি আ’ইনেও মামলা দায়ের করা হয় কাশ্মির পিপল’স পার্টির নেতা শেহলার বিরুদ্ধে।
কাশ্মিরে বেসামরিক জনগণের ওপর ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী নি’পীড়ন চালাচ্ছে ও মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে- এ অভিযোগ তুলে ১৮ আগস্ট একগুচ্ছ টুইট করেন রাজনৈতিক কর্মী শেহলা রশিদ। ওই টুইটগুলোতে তিনি বলেছেন, কাশ্মিরের একাধিক এলাকায় সে’নাবাহিনী রাতে সাধারণ মানুষের বাড়িতে ঢুকে সবকিছু ত’ছনছ করছে, খাবারদাবার ন’ষ্ট করছে ও নির্বি’চারে ছেলেদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, সোপিয়ানে চারজনকে তুলে নিয়ে গিয়ে সে’নাবাহিনী শুধু অ’ত্যাচারই করেনি, মাইক লাগিয়ে তাদের আ’র্তনাদ এলাকাবাসীকে শুনিয়ে আ’তঙ্ক তৈরি করেছে। ভারতীয় বাহিনীর পক্ষ থেকে এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়।
শেহলা জানান, সে’নাবাহিনীর আচরণের বিরুদ্ধে যা যা তিনি লিখেছেন, সেসব তথ্য সেখানকার ভুক্তভোগী মানুষের সঙ্গে কথা বলেই সংগ্রহ করেছেন। নিরপেক্ষ তদন্ত হলে ঘটনাগুলোর সত্যতা বেরিয়ে আসবে বলে তিনি দাবি করেন।
ভারতীয় সে’নাবাহিনী শেহলার অ’ভিযোগগুলো ‘ভিত্তিহীন’ ও ‘অসমর্থিত’ দাবি করে প্রত্যাখ্যান করেছে। কাশ্মিরের শান্তি বি’নষ্ট করতে ভুয়া সংবাদ ছড়িয়েছেন বলেও অভিযোগ করেছে এ বাহিনী।
কাশ্মিরের পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্যের জন্য শেহলা রশিদের বিরু’দ্ধে এর আগে ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অলোক শ্রীবাস্তব। ভারত সরকার ও সে’নাবাহিনীর বিরুদ্ধে ভুয়া সংবাদ ছড়ানোর অভিযোগে ওই সময় তিনি তাকে গ্রে’ফতারেরও দাবি জানান।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.