Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

‘হাড় খাবো, মাংস খাবো, চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বাজাবো’







জয়ন্ত কুমার সরকার:

“কোন এক উল্টো রাজা, উল্টো বুঝলি প্রজার দেশে চলে সব উল্টো পথে, উল্টো রথে উল্টো বেশে। সোজা পথ পড়ে পায়ে, সোজা পথে কেউ চলে না বাঁকা পথ জ্যাম হরদম, জমজমাট ভিড় কমে না”।

বাংলা সঙ্গীতাঙ্গনের বিখ্যাত এবং অত্যন্ত জনপ্রিয়, জীবনমুখী ভারতীয় শিল্পী নচিকেতার বহুল জনপ্রিয় একটি গানের প্রথম কয়েকটি লাইনের কথা। যদিও গানটির পরতে পরতে ফুটে উঠেছে ভারতীয় উপমহাদেশের শাসক এবং জনগণের চরিত্র ও বৈশিষ্ট্য। এদিকে জাতি হিসেবে বর্তমানে আমরা অত্যন্ত ইস্যুপ্রিয় হয়ে উঠেছি। ইস্যুকে টিস্যুর মতো সাময়িক ব্যবহার করে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে অপেক্ষায় থাকি পরবর্তী গরম কোনো ইস্যুর, যা সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ভাইরালের মাধ্যমে মাঠ গরম রাখা যাবে আরো কিছুদিন।



অন্তত তার পরবর্তী গরম কিছু পাওয়ার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত তো বটেই। আর সামাজিক জীব হিসেবে আমরাও জাতিকে উপহার দিয়ে চলেছি একের পর এক মুখরোচক গরম ইস্যু। আর রাষ্ট্রও এগুলোর পেছনে দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে পিছিয়ে পড়ছে যথাযথ উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড থেকে। খুন, গুম, অপহরণ, ধর্ষণ, যৌন নির্যাতন, শিশু নির্যাতন এগুলো বোধহয় বর্তমানে আমাদের নাগরিক মননে খুব একটা আলোড়ন সৃষ্টি করে না। পত্রিকার পাতা, টেলিভিশন নিউজ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম; সব জায়গায় একই ধরনের সংবাদ দেখতে দেখতে আমাদের শরীর-মন হয়তো অনেকটা‌ই অভ্যস্থ হয়ে উঠেছে। জহির রায়হান যেমন তার মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গল্প “সময়ের প্রয়োজনে”-এ বলেছেন “প্রায়ই মরা মানুষ আসে, মৃতদেহ কবরে নামাই, পরক্ষণে ভুলে যাই”। অর্থাৎ নেতিবাচক খবরের সমারোহে অবসাদ থেকে অভ্যস্থতা স্পষ্ট।



বলছিলাম সামাজিক জীব হিসেবে মুখরোচক ইস্যু সৃষ্টিতে আমাদের সক্রিয়তার কথা। সম্প্রতি অফিস সহকারী একটি মেয়ের সঙ্গে জামালপুরের জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীরের বিশেষ একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। জেলা প্রশাসক মহোদয় মেয়েটিকে তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী এবং কক্ষটি নিজের বলে মেনে নিলেও ভিডিওটিকে ভুঁয়া বলেছেন। শাক দিয়ে কি আর মাছ ঢাকা যায়? তাই জনগণও যা বোঝার বুঝে নিয়েছে। শেষ রক্ষা হয়নি ডিসি সাহবেরও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আগেই ওএসডি (অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি) করা হয়েছে তাকে। সেখানে নতুন ডিসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে পরিকল্পনামন্ত্রীর একান্ত সচিব (উপসচিব) মোহাম্মদ এনামুল হককে।



রক্ষক হিসেবে ভক্ষকের ভূমিকায় দেখা যায় অনেক সরকারী কর্মকর্তাদের। কতিপয় আমলা গামলা ভরে খেতে খেতে জাতিকে পৌঁছে দিয়েছে কাঙালের কোটায়; যদিও বর্তমানে কাঙালী ভোজে সমাজ স্বীকৃত কাঙালের থেকে আত্মস্বীকৃত উচ্চস্তরের কাঙালের সংখ্যা বেশি দেখা যায় (বিশ্বাস নাহলে ১৫ই আগস্ট জাতির জনকের শাহাদৎ বার্ষিকীর দিকে চোখ রাখলে বিষয়টা স্পষ্ট হবে, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় জাতীয় শোক দিবস দিনশেষে শোক উৎসবে পরিণত হয়। মহান নেতার প্রতি শ্রদ্ধাটা আর দেখা যায় না)।

সমাজের সম্মানীয় ব্যক্তিবর্গের অপকর্ম বিশেষ করে নারীঘটিত কেলেঙ্কারি হাল আমলে যেন ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়-মাদ্রাসা’র শিক্ষক থেকে শুরু করে মসজিদের ইমাম, মন্দিরের পুরোহিত, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, পুলিশ- কে নেই এই তালিকায়! যার যতটুকু ক্ষমতা আছে ততটুকু ব্যবহার করে মেয়েদেরকে ব্ল্যাকমেইলিং এর মাধ্যমে অপদস্থ করার অদ্ভূত এক ধ্বংসাত্মক প্রথা চালু করেছেন তথাকথিত প্রগতিশীলরা। ঘটনা ঘটছে, ভাইরাল হচ্ছে, আবার হারিয়েও যাচ্ছে নতুন কোনো নারকীয় ঘটনার আড়ালে। কোনো সমাধান নেই, হয়তো আন্তরিক প্রচেষ্টাও নেই সংশ্লিষ্ট মহলের। অপেক্ষা শুধু নতুন কোনো ঘটনার, এমনিতেই ভুলে যাবে আমজনতা। পূর্ণিমা থেকে তন্বী, মিতু থেকে নুসরাতরা এভাবেই হারিয়ে যায় সময়ের চোরাবালিতে; অতল গহ্বরে।



ঈদ আনন্দের রেশ মিলিয়ে যাবার আগেই বাতাসে আবারো ছড়ালো পোড়া গন্ধ। আগুনের লেলিহান শিখায় পুড়ে ছাই হয়ে গেল মিরপুর-৬ এর সমস্ত ঝিলপাড় বস্তি। বড় ধরনের হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও সর্বস্ব হারিয়ে পথে বসেছে বস্তিবাসী। কবে নাগাদ, কোথায়, কীভাবে তাদের পুনর্বাসন হবে তার কোনো আলামত এখনও স্পষ্ট নয়। তবে সহায়-সম্বলহীন বস্তিবাসীর চোখের জল শেল হয়ে বিঁধবে পেছনের কুশীলবদের, এমন আশা করাটাও দুরাশা। কারণ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় সেই কবে “পদ্মা নদীর মাঝি” উপন্যাসে বলে রেখেছেন “ঈশ্বর থাকেন ঐ গ্রামে, ভদ্র পল্লীতে। এখানে তাহাকে খুঁজিয়া পাওয়া যাইবে না”। বিস্ময়কর সত্য হচ্ছে সভ্যতার এই চরম উৎকর্ষতার যুগেও আমরা তাকে ভুল প্রমাণ করতে পারিনি। সভ্য সমাজের নাগরিক হিসেবে এই দায় আমার, আপনার সকলের- সর্বোপরি রাষ্ট্রযন্ত্রের। তাইতো এই সমাজে নেতিবাচক একটি ঘটনা ঘটলে একইরকম আরো কয়েকটি ঘটনা উপর্যুপুরি ঘটতেই থাকে। কিন্তু খারাপ ঘটনা যত দ্রুত ভাইরাল হয় সেভাবে তার সমাধান মেলে না কখনোই। নিমতলি, তাজরিন ফ্যাশন গার্মেন্টস, চকবাজার, ডিসিসি মার্কেট, এফআর টাওয়ার একের পর এক ভয়ঙ্কর-বিভীষিকাময়-প্রাণঘাতী সব অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতেই থাকে। তদন্ত কমিটি গঠিত হয়, কিন্তু তদন্তের ফল আর আলোর মুখ দেখে না। কখনো-সখনো দেখলেও সেটা লৌকিক, রাঘব বোয়ালরা থেকে যায় ধরা ছোঁয়ার বাইরেই।

ভেবেছিলাম ঝিলপাড় বস্তির ভয়াবহ আগুনে হয়তো পুড়ে ছাই হয়ে যাবে কোরবানির চামড়া। কিন্তু না, আগুনের লেলিহান শিখা ভেদ করে চামড়া পোড়া গন্ধ বাতাস ভারি রাখলো কিছুদিন। তারপর আবার মিইয়েও গেলো। অন্তত পরবর্তী কোরবানী ঈদ পর্যন্ত তো বটেই; যদি মিডিয়া আবার খুঁচিয়ে না তোলে। অবশ্য সেই সম্ভাবনাও ক্ষীণ। কারণ মিডিয়াও জানে বাঙালি এখন আর চামড়া ইস্যু খাবে না। তাদের চায় আরো গরম ইস্যু। যদিও দেশে প্রায় ১৫০ কোটি ডলারের চামড়াজাত পণ্যের বাজার রয়েছে। কিন্তু তার সুফল পাওয়ার আশার গুঁড়েবালি। সবক্ষেত্রেই এখন সিন্ডিকেটের জটিল খাঁচায় বন্দি এ জাতির ভাগ্য। তাইতো ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হয়ে গরিব মৌসুমী ব্যবসায়ী এবং এতিমের চামড়া পুঁতে ফেলতে হয় মাটিতে। তাদের চোখের পানিতে নিরীহ মাটি ভিজলেও মন ভেজে না তথাকথিত সিন্ডিকেট চক্রের। আর অসহায় দেশবাসীকে বাজার থেকে উচ্চমূল্যে কিনতে হয় চামড়াজাত পণ্য বা আমদানিকৃত আর্টিফিসিয়াল লেদার। এক্ষেত্রে তাদের নীতি হয়তো ‘গরীবের হাড় খাবো, মাংস খাবো, চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বাজাবো’।

এদিকে দেশব্যাপী ডেঙ্গু প্রায় মহামারী রূপ নিলেও সব গুজব বলে প্রথমদিকে দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত থাকেন ঢাকা উত্তর-দক্ষিণের দুই নগরপিতা। তবে যতক্ষণে তাদের বোধোদয় হয়েছে ততক্ষণে সর্বনাশের মহাসড়কে দুর্বার গতিতে এগিয়ে গিয়েছে ডেঙ্গু এক্সপ্রেস। দুই সিটি কর্পোরেশন সেই এক্সপ্রেস থামাতে শুধু চূড়ান্ত ব্যর্থতার পরিচয়ই দেয়নি, দিয়েছে চরম দায়িত্বহীনতার নির্লজ্জ বহিঃপ্রকাশ। ছোটবেলায় পড়তাম “মশা মারতে কামান দাগা”। উপহাস অর্থে বোঝানো হলেও এবার কিন্তু এডিস মশা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে উপযুক্ত ক্ষেত্র পেলে কামান-দাগা দিয়েও তাদের কিছু করা যাবে না। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে, হাসপাতালগুলোতে বর্তমানে তিলধারণের ঠাঁই নেই বললেই চলে। এই লেখার সময় পর্যন্ত (৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ মঙ্গলবার) মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৭ জনে। তাই উত্তর-দক্ষিণ মশা নিধনে ব্যর্থ হলেও মশার কামড়ে কিন্তু দুই মেয়রের চেয়ার উল্টানোর জোগাড়! এদিকে কাজের কাজ কিছু করতে না পারলেও গোঁদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে আসে মন্ত্রীদের লাগামহীন কথাবার্তা। এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য বাণী দিয়েছেন “বাংলাদেশ এখন উন্নত দেশ হতে যাচ্ছে, তাই এখন দেশে ডেঙ্গু এসেছে”। যেহেতু অনেক উন্নত দেশে ডেঙ্গু হয় সেই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশেও ডেঙ্গু হচ্ছে। মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে বিনম্র জিজ্ঞাসা “উন্নত দেশে তো কতশত ইতিবাচক কাজও হয়, সেগুলো কেন এদেশে উদাহরণ হয় না”?

কয়েকদিন আগে ভয়াবহ দাপট দেখিয়ে গেল গুজব! বাঙালির বহুদিনের লালিত স্বপ্ন পদ্মা সেতুতে মানুষের মাথা লাগবে। তাই দিকেদিকে ছড়িয়ে পড়লো ছেলে ধরা আতঙ্ক। সেই গুজবের নির্মম বলি হতে হলো রেণু বেগমসহ কয়েকজন নিরীহ প্রাণ মানুষকে। এমনিতে পদ্মা সেতু নির্মাণকে কেন্দ্র করে জাতীয়-আন্তর্জাতিক বহু ষড়যন্ত্র দেখেছে এই দেশ। তবে সরকার তথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অসীম দৃঢ়তায় সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে পদ্মার বুকে মাথা তুলে দাঁড়াতে শুরু করেছে পদ্মা সেতু, বাস্তবতায় ছোঁয়ায় রঙিন হচ্ছে বহুল আকাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন।

প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনায় দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়ে চলেছে লাশের মিছিল। কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছে না চালকদের বেপরোয়া গাড়ি চালানো, টনক নড়ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষেরও। এখানেও আছে সিন্ডিকেট নামক দাবার ঘুঁটি। বাজারে গুঞ্জন আছে এমপি, মন্ত্রীরাই জড়িত এই পাতানো খেলায়। ফলে একের পর এক প্রাণ হারাচ্ছে নিরীহ মানুষ, কত জ্ঞানী-গুণীজন। ২০১১ সালের ১৩ আগস্ট ঘিওর উপজেলায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মিশুক মুনীর এবং তারেক মাসুদে মৃত্যু দিবস অনাদর-অবহেলায় চলে গেল কিছুদিন আগে। গৎবাঁধা কিছু আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া ছিল না উল্লেখযোগ্য কোনো তৎপরতা। কথায় আছে যে দেশে গুণীর কদর হয় না, সেই দেশে গুণী জন্ম নেয় না। এভাবেই হয়তো মিশুক মুনীর-তারেক মাসুদদের অবহেলা করতে করতে অভিশপ্ত এই জাতি একসময় জ্ঞানী-গুণী শুন্য হয়ে পড়বে। এদিকে ভিআইপি তোষণে ফেরি তিনঘণ্টা আটকে রাখায় অ্যাম্বুলেন্সে প্রাণ হারায় স্কুলছাত্র তিতাস ঘোষ। ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু তদন্তের ফল আলোর মুখ দেখলে সেটাই হয়তো হবে পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্য!

ভারতে বাসে নির্ভয়া গণধর্ষণকান্ডের অনুকরণে বাংলাদেশেও হঠাৎ-ই শুরু হলো এই ঘৃণ্য অপকর্ম। তারপর একের পর এক চলতেই থাকলো একইরকম ধর্ষণের ঘটনা। বাস হয়ে উঠলো ধর্ষণের নিরাপদ ক্ষেত্র, এ যেন নতুন এক ফ্যাশন। এভাবেই নারী নির্যাতনে নিত্য-নতুন প্রক্রিয়া ভাইরাল হয় মুহূর্তেই। অর্থাৎ ঘৃণ্যকাজ অন্য দেশে ঘটলেও এদেশেও সেটা ভাইরাল হয় দ্রুতগতিতে। কোথাও নতুন কোনো প্রক্রিয়ায় শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটলে সেটাও তাড়াতাড়িই ছড়িয়ে পড়ে একপ্রান্ত থেকে আরেকপ্রান্তে। পায়ুপথে বাতাস দিয়ে শিশু নির্যাতন যার ঘৃণ্যতম উদাহরণ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কত কত ভাল কাজ হয়, সেগুলোতো অনুকরণ বা ভাইরাল হতে দেখা যায় না খুব একটা। আবার হয়তো ভাল কাজ অনুকরণ হলেও সেগুলো মিডিয়াতে আসে না। কারণও স্পষ্ট, ভাল কাজের মিডিয়া কাভারেজে টিঅআরপি বা কাটতি কম, ঠিক যতটা বেশি মুখরোচক নেতিবাচক সংবাদের।

পাবনার রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকার বালিশ কাণ্ড আলোড়ন তুলেছিল সারাদেশে। সংখ্যালঘু ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দরবারে অভিযোগ করে ঘূর্ণিঝড় তুলেছিলেন প্রিয়া সাহা। রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি জড়িত কিনা এটা কোর্ট-কাচারির বিষয়। সেইসব ঘটনা স্মৃতিতে তরতাজা থাকতেই এবার সামনে হাজির বইকাণ্ড। পাঁচহাজার টাকার বই পঁচাশি হাজার টাকায় কিনে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। অতীতের সব ধারাবাহিক ঘটনার মতো এটা নিয়েও এখন কিছুদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গরম রাখবেন নেটিজেনরা। চলবে দায়, দোষ এড়ানোর নির্লজ্জ প্রচেষ্টা। অপেক্ষা শুধু পরবর্তী সুপার হিট কোনো ঘটনার জন্য, হয়তো আন্তরিক প্রার্থনাও। তাহলে এটাও ধামাচাপা পড়ে যাবে একসময়। ভুলে যাবে আমজনতা। কিন্তু ‘দেশ আমার, দোষ আমার’ – এই সরল স্বীকারোক্তিতে এগিয়ে আসবে না কেউ। যদি কখনো কেউ এগিয়ে আসে হয়তো তখন থেকেই শুরু হবে এই জাতির নব পথচলা, রচিত হবে নতুন ইতিহাস। অপেক্ষা শুধু এমন একটি সোনালী প্রভাতের জন্য। জয়তু বাংলাদেশ।

লেখক: গণমাধ্যমকর্মী।

You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.