Beanibazarview24.com
বাবলুর লা’শ ফেরত চান স্বজনরা। লা’শ এনে দাফন করার জন্য বাবা-মা ও স্ত্রী বিভিন্ন স্থানে ধরনা দিচ্ছেন। কিন্তু সোমবার ঘটনার ৭ দিন হতে চললেও তারা এখনও লা’শ ফেরত পাওয়ার কোনো আশার আলো দেখতে পাননি।
স্বজনদের আহাজারি, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ বাবলুকে গু’লি করে মে’রেছে। তাই বলে কি আমরা তার লা’শটাও ফেরত পাব না।
আমরা আমাদের ছেলের লা’শ ফেরত চাই- আমাদেরকে লা’শ এনে দেয়ার ব্যবস্থা চাই।’
সোমবার সকালে সাংবাদিকদের কাছে এভাবেই আকুতি জানান বিএসএফের গু’লিতে নি’হত বাবলু মিয়ার বাবা নুর মোহাম্মদ ও মা আছিয়া খাতুন।
তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশের ৫১ বিজিবির কাছে আমরা এ নিয়ে কথা বলার জন্য বার বার ধরনা দিয়ে কোনো সুযোগ পাইনি। তাই তারা রোববার বিকালে ছেলের লা’শ ভারত থেকে এনে দেয়ার দাবিতে ৫১ বিজিবির কমান্ডিং অফিসারের (সিও) কাছে লিখিত আবেদনটি নীলফামারীর ডিমলা ইউএনও মাধ্যমে প্রেরণ করেছেন।
বাবলুর বাড়ি নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের কালিগঞ্জ বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন গ্রামে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ৩ সেপ্টেম্বর সকালে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা ও লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম তিস্তা নদীর চর সীমানায় গরু চড়াতে ও ঘাস কাটতে গেলে সীমান্তের ৭৭২ প্রধান পিলালের কাছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গু’লিতে বাবলুর মিয়া (২৪) নি’হত হন।
এ সময় বাবলুর সঙ্গে থাকা চৌদ্দ বছরের বালক সাইফুল ইসলাম আহ’ত হয়। বাবলুর লা’শসহ আহত বালককে বিএসএফ ভারতে নিয়ে যায়।
আহ’ত বালক ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ঝাড়শিঙ্গেশ্বর গ্রামের গোলজার রহমানের ছেলে।
সাইফুলকে ফেরত পেতে তার স্বজনরা একইভাবে ধরনা দিচ্ছে।
এদিকে নিহত বাবলুর স্ত্রী রজিফা স্বামীর জন্য আহাজারি করছে। আট মাস আগে বিয়ে হওয়া এই নারী ঠিকমতো সংসার জীবন শুরুই করতে পারেনি। স্বামীর হঠাৎ এভাবে মৃ’ত্যু সে মেনে নিতে পারছে না। অল্প বয়সে আজ তাকে বিধ’বা হতে হল।
ভারত থেকে বাবলুর লা’শ নিয়ে আসার দাবিতে বাবা, মা, স্ত্রী, ভাই-বোন পাগলের মতো জনপ্রতিনিধি, বিজিবি, প্রশাসনের বিভিন্ন লোকজনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।
পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ খান জানান, বাবলুর লা’শ ও আ’টক সাইফুল ইসলামকে ফেরত আনার জন্য ৫১ বিজিবি কাছে বাবলুর জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান করা হয়।
তবে ৫১ বিজিবির কাছে সাংবাদিকরা এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, ভারতীয় বিএসএফ বাবলুর লা’শ ময়নাতদন্ত শেষে কোচবিহার হাসপাতালের মরচ্যুয়ারীতে সংরক্ষণ করে রেখেছেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.