Beanibazarview24.com
সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের মেয়ে হাসা বিনতে সালমানকে ১০ মাসের কা’রাদ’ণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। ২০১৬ সালে প্যারিসের একটি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে কাজ করতে আসা এক মিস্ত্রিকে পায়ে চু’মু খেতে বা’ধ্য করা ও মা’রধ’রের অভিযোগে তাকে দ’ণ্ড দেয়া হলো।
হাসা বিনতে সালমান প্যারিসের বিলাসবহুল একটি অ্যাপার্টমেন্টে থাকতেন। সেখানে পাইপ ঠিক করতে এসেছিলেন ওই মিস্ত্রি। তাকে আ’টকে রেখে মা’রধ’র করেন সৌদি রাজকন্যা ও তার দে’হরক্ষী। তারপর ওই মিস্ত্রিকে রাজকন্যার পায়ে চু’মু দিতে বা’ধ্য করেন।
দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে নারী অধিকারের পক্ষে কাজ করা ৪৩ বছর বয়সী সৌদি রজকন্যার এমন কা’রাদ’ণ্ডাদেশের খবর জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার যখন রায় ঘোষণা করা হয় তখন আদালতে উপস্থিত ছিলেন সৌদির ডি-ফ্যাক্টো নেতা যুবরাজ সালমানের এই বোন।
শুধু দশ মাসের কা’রাদ’ণ্ড নয় হাসা বিনতে সালমানকে মিস্ত্রিকে মা’রধ’র ও অপহ’রণের অভিযোগে ১০ হাজার ইউরো জ’রিমানা করেছেন আদালত। বিবিসি বলছে, হাসার দে’হরক্ষী রানি সাইদিকেও ৮ মাসের কা’রাদ’ণ্ড এবং ৫ হাজার ইউরো জ’রিমানা করা হয়েছে।
মা’মলাটি দায়ের করেছিলেন ঘটনার শিকার মিস্ত্রি আশরাফ ইদ। তিনি বলেন, ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে প্যারিসের অ্যাভেনিউ ফস নামের বিলাসবহুল ওই অ্যপার্টমেন্টে কাজ করতে যান তিনি। তারপর তাকে হাসার পায়ে চু’মু খেতে বা’ধ্য করা হয়।
রাজকন্যার নির্দেশে তার দে’হর’ক্ষী সাইদি মিস্ত্রিকে মা’রধ’র ও কয়েক ঘণ্টা বেঁ’ধে রাখেন। ঘটনার পরপরই সৌদি রাজকন্যা হাসা ও তার দে’হরক্ষী ফ্রান্স ছেড়ে চলে যান। ২০১৮ সালের মার্চে গ্রে’ফতারি প’রোয়ানা জারির পর চলতি বছরের ৯ জুলাই ফ্রান্সের আ’দালতে তাদের বিচার শুরু হয়।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.