Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

ইতালি যাওয়ার স্বপ্ন নিয়ে না ফেরার দেশে ৩ যুবক







মানব পাচার চক্রের প্রলোভনে লিবিয়া হয়ে নৌকাযোগে ইতালিতে যাওয়ার পথে মা’রা গেছেন ফরিদপুরের তিন যুবক। তারা হলেন সদর উপজেলার ডোমরাকান্দির সায়েম মোল্লা ও জেলার সালথা উপজেলার মাঝারদিয়া গ্রামের সেলিম উদ্দিন ও সানি মাতব্বর।

এদের মধ্যে সায়েম ও সেলিমের মরদেহ রোববার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নিয়ে আসা হয়েছে। অপরদিকে সানির মরদেহ আগামী সপ্তাহে আসতে পারে বলে জানা গেছে।



মৃ’তদের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুর শহরের ডোমরাকান্দি এলাকার ইতালি প্রবাসী প্র’তারক মফিজুর রহমান ফরিদপুর সদর উপজেলার বিল্লাল মোল্লার ছেলে সায়েম মোল্লা (১৭), সালথা উপজেলার মাঝারদিয়া গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে সেলিম উদ্দিন (৩০) ও মফিজ মাতব্বরের ছেলে সানি মাতব্বরকে (২৭) ইতালির একটি ইলেকট্রনিকস কোম্পানিতে ৮০ হাজার টাকা বেতনে কাজের প্রলোভন দিয়ে ইটালিতে পাঠানোর কথা বলেন। সেই সঙ্গে প্রত্যেকের কাছ থেকে সাত লাখ টাকা নেন। ১০ মে ইতালির উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে বাংলাদেশ থেকে তাদের লিবিয়ায় নিয়ে যায়।



সায়েমের বাবা বিল্লাল মোল্লা বলেন, গত ৩ জুন সায়েম ফোন করে জানায় তাদের একটি নৌকায় করে সমুদ্রপথে ইতালি নিয়ে যাওয়ার সময় সমুদ্রের মাঝখানে নৌকার তলা ফেটে ডুবে যাচ্ছে। এ সময় তাদের নিশ্চিত মৃত্যু হতে যাচ্ছে জানিয়ে আমাদের সঙ্গে শেষ কথা বলেন। এরপর ফোন কেটে যায় এবং আর কোনো খবর পাওয়া যায়নি।



সায়েমের বাবা আরও বলেন, পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তাদের খোঁজ নিয়ে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হই। মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমেই দুজনের মরদেহ ফেরত আনা হয় দেশে। আগামী সপ্তাহে সানির মরদেহ দেশে আসতে পারে।

এদিকে, সানির বাবা মফিজ মাতব্বর তার সন্তানের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে এ ঘটনার বিচার দাবি করেছেন।

অপরদিকে, রোববার দুপুরে সায়েম মোল্লা ও সেলিমের মরদেহ বাড়িতে আসলে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। পরে তাদের মরদেহ দাফন করা হয়।



এ ঘটনায় পুলিশের কাছে কোনো তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. এনায়েত হোসেন। তিনি বলেন, লোক মুখে জেনেছি বিদেশে মৃত্যু হওয়া দুজনের মরদেহ দেশে এসেছে, পরিবার তাদের মরদেহ দাফন করেছে।



ফরিদপুর জনশক্তি কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ষষ্টী পদ রায় বলেন, মৃতরা জনশক্তি কার্যালয়ের মাধ্যমে জায়নি বিধায় তাদের বিষয়ে আমাদের অফিসে কোনো রেকর্ড নেই। ফলে তাদের মরদেহ দেশে আনার বিষয়েও আমাদের জানা নেই।

ফরিদপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা বলেন, মরদেহ দেশে আসার পর প্রশাসনকে অবহিত করে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।














You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.