Beanibazarview24.com
মুহাম্মদ আলী আফ্রিকান বংশোদ্ভূত একজন মার্কিন ক্রীড়াবিদ। ১৯৪২ সালে বিখ্যাত এই মুষ্টিযোদ্ধা যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেন। জন্মের সময় তার নাম ছিল ক্যাসিয়াস মার্সেলাস ক্লে জুনিয়র। খেলোয়াড়ী জীবনে অনন্য প্রতিভাধর মুহাম্মদ আলি তার অঙ্গনে সবচে বিখ্যাত মুষ্টিযোদ্ধা ছিলেন।
স্পোর্টস ইলাস্ট্রেটেড মুহাম্মদ আলিকে শতাব্দীর সেরা খেলোয়াড়ের তকমা প্রদান করে এবং বিবিসি তাকে শতাব্দীর সেরা ক্রীড়াব্যক্তিত্ব হিসেবে সম্মানিত করে।
খ্যাতির চূড়ায় থাকতেই মুহাম্মদ আলি ১৯৭৫ সালে নেশন অব ইসলামে যোগদান করেন এবং ইসলাম ধর্মের দীক্ষা নেন।
এসময় তিনি নিজের নাম পাল্টে ফেলেন এবংক্যাসিয়াস মার্সেলাস ক্লে জুনিয়রের পরিবর্তে নিজের নাম দেন মুহাম্মদ আলি ।কথিত আছে সুন্নী সুফি শায়খ হিশাম কাব্বানীর হাতে মুহাম্মদ আলি মুরিদ হন।
মুসলমান হওয়ার অল্প কিছুদিন পরে (১৯৭৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি) মুহাম্মদ আলি বাংলাদেশ সফর করেন-এসময় তার সঙ্গে স্ত্রী,মেয়ে এবং তার ভাই-বোনও বাংলাদেশে এসেছিলেন।
সেই সফরে বাংলাদেশ সরকার মুহাম্মদ আলিকে সম্মান সূচক নাগরিকত্ব প্রদান করে এবং পল্টনের বক্সিং স্টেডিয়ামকে তার নামে নামকরণ করা হয়।
মুহাম্মদ আলির ঔরষ থেকে সর্বমোট নয় জন সন্তান-সন্ততি জন্ম লাভ করেন-তাদের সকলেই নিজেদেরকে ইসলামি নামে পরিচয় দিয়ে থাকেন।
তারা হলেন, লায়লা আলী, হানা আলী, আসাদ, আমিন, খালিয়াহ আলী, মোহাম্মদ আলী জুনিয়র, রাশেদা আলী, জামিল্লাহ আলী, মিয়া আলী, মারিয়ুম আলী।
এরপর মুহাম্মদ আলি ১৯৮১ সালে ‘সর্বকালের সেরা’ বক্সার খেতাব নিয়ে ক্রীড়াজগত থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
অবসরের পরে তিনি তার জীবনকে মানবতার কল্যাণে উৎসর্গ করেছিলেন। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন।
এর মাত্র এক বছর আগে ১৯৮০ সালে মুহাম্মদ আলি পারকিন্সন্স রোগে আক্রান্ত হন এবং প্রায় ৩২ বছর যাবত এই রোগে ভোগার পর ০৩ জুন, ২০১৬ তে ৭৪ বছর বয়সে তিনি ইন্তেকাল করে মহান প্রভুর সান্নিধ্যে গমন করেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.