Beanibazarview24.com
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্যে ইসরাইলের সীমান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে দেয়া এক আবেগময়ী বক্তৃতায় তিনি প্রশ্ন রাখেন, ইসরাইলের সীমান্ত কোথায়? এটা কি ১৯৪৮ সালেরর সীমান্ত, নাকি ১৯৬৭ সালের? কিংবা এছাড়া কি কোনো সীমান্ত রয়েছে? এ সময় তিনি ইসরাইলি দখলদারিত্বে ফিলিস্তিন ভূখণ্ড বিশ্বে সবচেয়ে বেশি অনাচারের শিকার হয়ে থাকে বলে মন্তব্য করেছেন।
নিউ ইয়র্কে চলমান জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বিশ্বনেতাদের উদ্দেশ্যে এরদোগান বলেন, ইসরাইলের ফিলিস্তিন ভূখণ্ড দখল করার কোনও বৈধতা নেই। এ ইস্যুতে তুরস্কের অবস্থান স্পষ্ট। ১৯৬৭ সালের সীমান্ত পরিকল্পনা অনুযায়ী আলাদা ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন করতে হবে এবং পূর্ব জেরুজালেম তাদের রাজধানী হবে।
জাতিসংঘের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, ইসরাইল নিয়ে নিজেদের নিয়ম প্রয়োগে ব্যর্থ হয়েছে জাতিসঙ্ঘ। যদি তাদের ভূখণ্ডের আওতায় না পড়ে, তবে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সামনে অন্যান্য অধিকৃত ফিলিস্তিন ভূখণ্ডের মতো তারা গোলান মালভূমি ও পশ্চিম তীরের অবৈধ বসতিকে কীভাবে একীভূত করতে পারে?
এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের ‘শতাব্দীর সেরা চুক্তির’ উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এরদোগান। তিনি বলেন, এটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে বিলুপ্ত করার প্রক্রিয়া। তুরস্ক সবসময় ফিলিস্তিনের নিপীড়িত মানুষের পাশে থাকবে এবং অতীতেও ছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি। ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করে ১৯৪৮ সালে তাদের জমিতে প্রতিষ্ঠিত হয় ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইল।
১৯৬৭ সালের ইসরাইল-আরব যুদ্ধের পর থেকে ইসরাইল পূর্ব জেরুজালেম দখল করে রেখেছে। ফিলিস্তিনিরা চায় পশ্চিম তীরে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে এবং পূর্ব জেরুজালেমকে এর রাজধানী বানাতে। তবে অন্যদিকে জেরুজালেমের পুরোটাই নিজেদের রাজধানী বলে দাবি করে থাকে ইসরাইল।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.