Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

ছয় নারী জিনের পাল্লায় পড়ে যুবক বৈদ্যুতিক টাওয়ারে, এলাকায় তোলপাড়







গরুর গোশত খাওয়ায় চার দুষ্ট নারী জিন নাসির নামে এক যুবককে মেরে ফেলার জন্য একটি বৈদ্যুতিক টাওয়ারের দেড়শ ফুট উপরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

ঘটনা এখানেই শেষ নয়, টাওয়ারের উপরে উঠে ওই যুবক নিচের দিকে চিৎকার করে আজান দেয়ার আহ্বান জানায়। পরে তার কথামতো আজান দেয়া হলে আজানের ধ্বনি শুনেই পালিয়ে যায় ওই চার দুষ্ট নারী জিন। পরে ভালো দুই নারী জিন তাকে সুস্থভাবে নিচে নামিয়ে আনে।



শুক্রবার বিকেলে কুমিল্লার হোমনা উপজেলার ঘারমোড়া হাদির খাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। যুবক নাসিরকে এক নজর দেখার জন্য কয়েক গ্রামের মানুষ এসে ঘটনাস্থলে ভিড় করছে।

নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার ইয়ারপুর গ্রামের আবদুল হালিমের ছেলে মো. নাসির। বেড়াতে এসেছিলেন কুমিল্লার তিতাস উপজেলায়। শুক্রবার বিকেলে মনের অজান্তেই চলে আসেন পার্শ্ববর্তী উপজেলা হোমনায়। এখানে এসে স্থানীয় হাদির খাল এলাকায় জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিডের হাই বোল্টেজ বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের দেড়শ ফুট টাওয়ারের একেবারে চূড়ায় উঠে যান।



চূড়ায় ওঠার কিছুক্ষণ পর ওপর থেকে একজনকে চিৎকার দিয়ে বলেন আজান দিতে। শাহ পরান নামে এক যুবক আজান দিলে নিজে নিজেই ওপর থেকে নিচে নেমে এসে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।

কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ৩ -এর ডিজিএম আক্তার হোসেন বলেন, ওই সময়ে বিদ্যুৎ ছিল। খবর পেয়ে যোগাযোগ করি পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বাংলাদেশের সঙ্গে। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে তাকে উদ্ধার করে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তি করে সুস্থ করা হয়। তাকে দেখতে হাসপাতালে এসেছেন হোমনার ইউএনও তাপ্তি চাকমা। তিনি সুচিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তারদের।



চিকিৎসা দেয়ার কিছুক্ষণ পর জ্ঞান ফিরে পেয়ে নাসির বলেন, আমার সঙ্গে ছয়টি নারী জিন থাকে। এরমধ্যে চারটি আমাকে অনেক মারধর করে। এদের কথা না শুনলে ব্লেড দিয়ে আমার শরীর কেটে রক্ত খায়। আমাকে মেরে ফেলার জন্য কয়েকবার বিদ্যুতের টাওয়ারে তুলেছে। তবে জিনদের মধ্যে দুইটি ভালো। তারা আজান দিতে বললে আজানের ধ্বনি শুনলেই চার দুষ্ট জিন চলে যায়।



দুই জন আমাকে নিরাপদে নামিয়ে দিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার আমি তিতাস উপজেলায় বেড়াতে এসেছিলাম। আমি গরুর মাংস খাওয়ার কারণে আমাকে মেরে ফেলার জন্য টাওয়ারে উঠিয়েছে। পরে আজান দেয়ার পর ভালো দুই জিন আমাকে নিচে নামিয়ে দিয়েছে। আমি সুস্থ আছি। একসময় জিনগুলো আমার মায়ের সঙ্গে ছিল। আমার মাকে মেরে ফেলেছে। এর পর আমার ওপর সওয়ার হয়েছে।

নাসিরের বাবা আবদুল হালিম ফোনে জানান, তার ওপর জিনের আছর রয়েছে। ছোটবেলা থেকেই সে এ রোগে ভুগছে। জিন চলে গেলে সে নিজে নিজেই চলে আসতে পারবে।

হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক ডাক্তার মো. শহিদুল্লাহ বলেন, ছেলেটির মানসিক সমস্যা থাকতে পারে। একজন সুস্থ মানুষ কখনই বৈদ্যুতিক টাওয়ারের চূড়ায় ওঠবে না।














You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.