Beanibazarview24.com
অ’নলাইন ক্যা’সিনো গুরু সেলিম প্রধানের গুলশানের বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি ম’দ, নগদ টাকা ও বিদেশি মুদ্রা জ’ব্দ করা হয়েছে।
গ্রে’ফতারের পর সোমবার রাত সাড়ে ১০টায় রাজধানীর গুলশান-২ এর ১১/এ রোডে সেলিম প্রধানের অফিসে অ’ভিযান শুরু করে র্যা ব। মঙ্গলবার র্যা বের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, অ’ভিযান এখনও চলছে। অ’ভিযান শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
জানা গেছে, সেলিম প্রধানকে সঙ্গে নিয়েই সোমবার রাত ১০টার দিকে গুলশান-২ এর একটি বাড়িতে অভি’যান শুরু করে র্যা ব। গুলশান-২ এর ৯৯ নম্বর সড়কের ১১ /এ নম্বর মমতাজ ভিশন বাড়িতে রাত ১০টার দিকে প্রথমে র্যা বের তিনটি গাড়ি আসে। কয়েকজন র্যা ব সদস্য বাড়িটির নিচে অবস্থান নেন। এর পর বাড়িতে বাইরে থেকে কোনো মানুষকে ভেতরে ঢুকতে দেয়া হয়নি। বাড়িটি ছয় তলা। এর চতুর্থ ও পঞ্চম তলায় অ’ভিযান চালানো হয়। এ দুটি ফ্লোরে তার বাসা ও অফিস রয়েছে। সোয়া ১১টার দিকে অ’ভিযানস্থলে র্যা বের সদস্যের উপস্থিতি আরও বাড়ানো হয়।
র্যা ব সূত্র জানিয়েছে, একটি অফিসের যে ধরনের ডেকোরেশন থাকা দরকার, সেখানে এ ধরনের ডেকোরেশন আছে। তবে র্যা ব সদস্যরা সার্চ করে দেখছেন কোনো অসঙ্গতি আছে কিনা।
র্যা বের গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, অ’নলাইনে অ’বৈধ ক্যা’সিনো ব্যবসার মূল হোতা সেলিম প্রধানের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ অভি’যান চালানো হয়েছে।
অ’নলাইন ক্যা’সিনো থেকে আয়ের অর্থ তিনি জাপানসহ বিভিন্ন দেশে পা’চার করতেন। গুলশানে তার একটি স্পা সেন্টার রয়েছে। সেখানেও অ’নৈতিক কর্মকাণ্ড চলে। তার বাড়ি নারায়ণগঞ্জে।
সেলিম প্রধান অ’নলাইনে ক্যা’সিনো পরিচালনাকারী এবং বাংলাদেশের কান্ট্রি প্রধান। তিনি ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের সহসভাপতি। এ ছাড়া এর আগে গ্রে’ফতার হওয়া বিসিবি পরিচালক লোকমান হোসেন ভূঁইয়ার ক্যাশিয়ারও।
সেলিম প্রধানের ব্যাংককের পাতায়ায় বিলাসবহুল হোটেল, ডি’সকো বা’রসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, শুধু অ’নলাইন ক্যা’সিনো পরিচালনাই নয়, সেলিম প্রধান রাজশাহীসহ সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় গবাদিপশুর সব খাটাল ও মা’দক সি’ন্ডিকেটের হোতা। এমনকি সীমান্তে জা’লটাকার মূল সি’ন্ডিকেটের নি’য়ন্ত্রণও তার হাতে।
প্রশাসনের বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলে তিনি খাটাল, মা’দক ও জা’লটাকার সি’ন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করেন। সেখান থেকে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা চাঁ’দা নেন। দুই বছরে তিনি সীমান্ত এলাকা থেকে প্রায় দুই কোটি টাকা চাঁ’দা নিয়েছেন।
বুধবার রাতে ফুওয়াং ক্লাবে সর্বশেষ অ’ভিযান হয়। এর পর থেকে গত কয়েক দিন তেমন কোথাও অ’ভিযান পরিচালিত হয়নি। সোমবার অ’নলাইন ক্যা’সিনো গুরু সেলিম প্রধান গ্রে’ফতার হন।
র্যা বের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপা’রেশন্স) কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরওয়ার বলেন, অ’নলাইন ক্যা’সিনোর বাংলাদেশ প্রধান সেলিম প্রধানকে গ্রে’ফতার করা হয়েছে। অ’নলাইনের বিভিন্ন মাধ্যমে তিনি জু’য়ার টাকা সংগ্রহ করতেন।
পরে এই অর্থ তিনি বিদেশে পা’চার করতেন। এসব বিষয়ে এখন তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, থাই এয়ারওয়েজের টিজি-৩২২ নম্বর ফ্লাইটটি দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে ব্যাংককের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা ছিল। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি ইউনিট ফ্লাইটে হাজির হলে সেটি বেলা ৩টায় ঢাকা ছেড়ে যায়। সেখান থেকেই সেলিম প্রধানকে গ্রে’ফতার করা হয়।
সারা দেশে ক্যা’সিনোবিরোধী অ’ভিযানের কারণে ভ’য়ে তিনি দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। তবে র্যা বের গোয়েন্দা ইউনিটের সদস্যরা তার ওপর তী’ক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখছিলেন। এ কারণে শেষ পর্যন্ত তিনি পালাতে পারেননি।
র্যা ব জানায়, রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা অনলাইন ক্যাসি’নোর কারবার চলে। এটি খেলতে কোনো ক্লাবে যেতে হয় না। নিজের মোবাইল ফোনে জু’য়া খেলে অনেকেই সব হারাচ্ছেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে অ’নলাইন ক্যা’সিনোর ডিলার।
তাদের কাছ থেকে বিকাশ, নগদ, র’কেট কিংবা অন্যান্য মাধ্যমে চি’পস বা কয়েন কেনেন জু’য়াড়িরা। ডিলারদের নিয়োগ দেন অ’নলাইন ক্যা’সিনো গুরু সেলিম প্রধান।
তার বি’রুদ্ধে মা’নি ল’ন্ডারিংসহ একাধিক আইনে মা’মলা করা হবে বলে জানায় র্যা ব।
র্যা বের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার বলেন, সেলিম অনলাইন ক্যা’সিনো জু’য়ার সঙ্গে জড়িত। তিনি ক্যা’সিনোর অর্জিত আয় বিদেশে পা’চার করে আসছিলেন।
সূত্র জানায়, রাজধানীর বিভিন্ন স্পা ও বিউটি পার্লার যেখানে ভিআইপিদের আসা-যাওয়া রয়েছে, সেগুলোতে নারী সরবরাহের কাজ করতেন সেলিম। সেই মেয়েরা ভিআইপিদের বিনোদন দেয়ার কাজ করতেন। সিলেট থেকে অ’বৈধভাবে পাথর নি’ষ্কাশনের কাজ করতেন তিনি। ভারত থেকে বাংলাদেশে গরু পা’চারেও ভূমিকা ছিল তার। এসব বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে র্যা ব।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.