Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

প’রকীয়া প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে টু’করো টু’করো করলেন স্ত্রী







প’রকীয়া প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে টু’করো টু’করো করে হ’ত্যা করেছেন স্ত্রী। শুধু তাই নয়, হ’ত্যার পর তার ম’রদেহের টু’করো রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দেন। ৯ বছর আগে এমন রোমহ’র্ষক হ’ত্যাকাণ্ড ঘটেছিল ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে। দীর্ঘ তদন্তের পর অবশেষে প’রকীয়া প্রেমিকাকে গ্রে’ফতার করেছে পুলিশ।



চাঞ্চল্যকর এই হ’ত্যাকাণ্ডের র’হস্য উন্মোচন করতে পুলিশের লেগে গেছে ৯ বছর। ২০১১ সালের এই হ’ত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে দিল্লি পুলিশের অপরাধ তদন্ত শাখা জানতে পায়, হ’ত্যা’কাণ্ডের শি’কার ওই ব্যক্তির স্ত্রী ও তার প’রকীয় প্রেমিক এতে জড়িত। গাড়িচালক প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে হ’ত্যা’ করেন স্ত্রী।



নি’হত ব্যক্তির স্ত্রী শকুন্তলার সঙ্গে ওই গাড়িচালক কামালের অ’নৈতিক সম্পর্ক ছিল। দিল্লি পুলিশের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা বলেছেন, প্রেমিক কামালের সঙ্গে পরামর্শ করে স্বামী রবিকে হ’ত্যার নকশা করেছিলেন শকুন্তলা। তারা সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী রবিকে হ’ত্যার পর তার ম’রদেহ কয়েক টুকরো করে রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দেন।

২০১২ সালে এই পলিগ্রাফ টেস্টে এই হ’ত্যা মা’মলায় নতুন আলামত পায় পুলিশ। পাঁচ বছর পর পুলিশ নিহত রবির স্ত্রীর ব্রেইন ম্যাপিং পরীক্ষা করে। এই পরীক্ষায় রবিকে হ’ত্যায় স্ত্রী শকুন্তলার সংশ্লিষ্টতার ব্যাপারে নিশ্চিত হয় পুলিশ।



ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, হ’ত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত কামালের সঙ্গে শকুন্তলার সম্পর্ক ছিল। ২০১১ সালে রবীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়ে যায়। বিয়ের পরও কামালের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন শকুন্তলা। বিয়ের এক মাসের মাথায় স্বামী রবিকে হ’ত্যার পরিকল্পনা করেন তিনি। এ কাজে তাকে সহায়তা করে প্রেমিক কামাল।

পরিকল্পনা অনুযায়ী শকুন্তলা স্বামীকে নিয়ে বোনের বাড়িতে বেড়াতে যান। সেখানে প্রেমিক কামালকে ডাকেন তিনি। পরে সেখান থেকে একটি ট্যাক্সি ক্যাব ভাড়া করে, এই ট্যাক্সির চালকও তাদের পরিকল্পনার ব্যাপারে জানতেন। রাস্তায় চলার সময়ই গাড়ির ভেতরে হ’ত্যা করা হয় রবিকে। একাজে সহায়তা করায় ট্যাক্সির চালককে ৭০ হাজার রূপি দেন অভিযুক্তরা।



২০১১ সালে নিহত রবির বাবা পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে দিল্লি পুলিশের অপ’রাধ তদন্ত শাখার কাছে এই হ’ত্যা মামলা হস্তান্তর করা হয়। প্রধান অভিযুক্ত শকুন্তলা ও তার প্রেমিক কামালের ব্রেইন ম্যাপিং টেস্ট করার পর এই মামলার প্রকৃতি একেবারে পাল্টে যায়। ব্রেইন ম্যাপিং টেস্ট করার পর এ দুই অ’ভিযুক্ত পালিয়ে যান। পরে আলওয়ার থেকে কামালকে গ্রে’ফতার করে পুলিশ।



জিজ্ঞাসাবাদে কামাল জানান, রবিকে হ’ত্যার পর তারা ম’রদেহ টু’করো টু’করো করেন। পরে একটি নির্মাণ স্থাপনার পাশে কিছু অংশ পুঁতে ফেলেন ও কিছু অংশ আলওয়ার থেকে রিওয়ারির রাস্তায় ফেলে দেন।

তবে রবিকে পুঁতে রাখার স্থান থেকে অন্তত ২৫ টু’করো হার উ’দ্ধার করে পুলিশ। শকুন্তলা বর্তমানে গ’র্ভবতী; তবে প’লাতক রয়েছেন।
সূত্র : এনডিটিভি।














You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.