Beanibazarview24.com
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদতে নি’র্মমভাবে পি’টিয়ে হ’ত্যার ঘটনায় ছাত্রলীগের বি’রুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে সামাজিক যেগাযোগ মাধ্যমে চলছে বেশ আলোচনা-সমালোচনা।
আজ মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে এ আবরার হ’ত্যার বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন অভিনেত্রী ও নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওন।
তার সেই ফেসবুক স্ট্যাটাসটি নিচে পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো- “বুয়েটের তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগেরই ‘৬৯ ব্যাচের ছাত্র ছিলেন আমার বাবা। সারাজীবন তাঁর মুখে গর্বের সাথে উচ্চারিত হওয়া এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত হবার স্বপ্ন ছিল আমারও। ভর্তি পরীক্ষার ফর্ম তোলার সময় ঢাকার বাইরে থাকায় পরীক্ষা-ই দিতে পারিনি আমি! সেই দু:খ ভোলার জন্য প্রায়ই ভেবেছি পুত্রদ্বয়ের যেকোনো একজন যেন এই মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অংশীদার হতে পারে।
এই প্রতিষ্ঠানের তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগেরই ছাত্র ছিল আবরার। আবরার এর কথা ভাবি আর আমার পুত্রদ্বয়ের মুখের দিকে তাকাই। আমার বুক কাঁপে। বাচ্চাদু’টোর পিঠ হাত-পা’র উপর হাত বুলিয়ে দেই। ছোটবেলায় এরকম ছোট ছোট হাত পা-ই তো ছিল আবরারের! তার মা কতরাত পিঠে হাত বুলিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছে তাকে! একেকটা আঘাতে ছেলেটা কি ‘মা গো’ বলে চিৎকার দিয়েছিল? ‘মা গো’ ডাক শুনে খুনী ছেলেগুলোর কি একটুও নিজের মা’এর কথা মনে পড়েনি! ঠিক কতবার.., কতক্ষণ ধরে.., কতটুকু আঘাত করলে ২০/২১ বছরের একটা তরুণ ছেলে মরেই যায়!
আমি আর ভাবতে পারি না।
ফেসবুকে আবরারের পি’ঠটার ছবি দেখলাম। কি ভ’য়ংকর! কি নৃ’শংস!! কি ক’ষ্ট!!!
এই ছবিটা যেন তার বাবা-মা’র চোখে না পড়ে। ভুল বলেছি। আবরারের বাবা, আবরারের মা তাদের বাবুটার ক্ষ’তবিক্ষ’ত পিঠে হাত বুলিয়ে যেন অ’ভিশাপ দেন মানুষের মতো দেখতে খু’নী অমানুষগুলোকে। তাদের অ’ভিশাপে যেন ধ্বং’স হয়ে যায় এই অসুস্থ সমাজ।
#নুসরাতকে_ভুলে_গিয়েছি
#আবরারকেও_ভুলে_যাব
#বিচার_চাই_বলে_লাভ_আছে_কিনা_জানিনা_তবুও
#বিচার_চাই
সংশোধন: ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া পিঠের ছবিটা আবরারের না। তাতে কি! আবরারের শরীরটাও তো ৬/৭ ঘন্টার আঘাতে ক্ষ’তবিক্ষ’ত!”
রবিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা হলের একতলা থেকে দোতলায় ওঠার সিঁড়ির মাঝ থেকে আবরার ফাহাদের লা’শ উ’দ্ধার করে পুলিশ। জানা যায়, দিবাগত রাতে বুয়েটের শের-ই বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরারকে পি’টিয়ে হ’ত্যা করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা।
গ্রে’প্তার ১০ আ’সামির প্রত্যেককে ৫ দিন করে রিমা’ন্ড মঞ্জুর করেছেন আ’দালত। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম এ আদেশ দেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.