Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

বাংলাদেশের সীমানায় মা ইলিশ শিকার করছেন মিয়ানমার ও ভারতীয় জেলেরা







উপকূলীয় অঞ্চলের বরগুনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, ভোলারসহ দক্ষিণাঞ্চলের অধিকাংশ মানুষেই সমুদ্রে ইলশসহ সামুদ্রিক মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। এখাতে সরকারের রাজস্ব আয়ও হচ্ছে বিপুল পরিমাণ। এদিকে এবছর ইলিশ মৌসুমের শুরুতে িইলিশ ধরা না দিলেও শেষ সময়ে এসে জেলেদের জালে ধরা দিতে থাকে েইলিশ।



আকারে বড় না হলেও প্রছুর মাছ ধরা পড়ায় হাসি ছিল জেলেসহ মৎস্য সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মুখে। কিন্তু সে হাসি ম্লান হয়ে গেছে ইলিশ প্রজনন মৌসুমের অবরোধে। মা ইলিশের সঠিক ও নিরাপদ প্রজননের জন্য ৯ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর ২২ দিন ইলিশ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। নিষেধাজ্ঞার এ সময়ে জেলেরা শিকার করতে পারবেন না ইলিশ। এ সুযোগে বাংলাদেশের বঙ্গোবসাগরের পানিসীমায় প্রবেশ করে নির্বিঘ্নে মা ইলিশ শিকার করছে ভারতীয় জেলেরা। এমন অভিযোগ ভুক্তভোগী বাংলাদেশী জেলেদের।



মোংলা বাজারের স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী রবিউল, আল আমিন ও জসিম অভিযোগ করে জানান, ভারতীয় জেলেদের উৎপাতে দেশি জেলেদের বর্তমান ইলিশ মৌসুমে মাছ শিকার ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

তারা আরও বলেন, এক সময় ভারতীয় জেলেরা বাংলাদেশের জলসীমায় ঘেঁষে বা কিছুটা ভিতরে ঢুকে ইলিশ শিকার করতো। বর্তমানে তারা উপকূলীয় এলাকার কাছাকাছি এসে অবাধে মাছ শিকার করছে। অধিকাংশ সময়ই তারা গোপনে মাছ শিকার করে চলে যায়। বিদেশি জেলেরা উচ্চতাসম্পন্ন বাইনোকুলার দিয়ে ট্রলারে বসে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তৎপরতায় চোখ রাখে।



স্থানীয় জেলেদের দাবি, বাংলাদেশের জলসীমা থেকে ভারতের কাকদ্বীপ এলাকার কাছে হওয়ায় সেখানকার বিপুল সংখ্যক জেলে এ দেশের জলসীমায় মাছ ধরতে আসে। প্রতি বছর অক্টোবর-নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি-মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশি জেলেরা বঙ্গোপসাগরের সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকায়ট্রলার ও নৌকায় করে সামুদ্রিক নানা ধরনের মাছ আহরণ করে থাকেন। সমুদ্র শান্ত থাকায় এ সময়টা জেলেদের মাছ আহরণের উপযুক্ত মৌসুম।



বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, মৎস্য গবেষকরা আশ্বিন মাসের মধু পূর্ণিমার আগের তিন দিন থেকে পরবর্তী ১৫ দিন মা ইলিশের সর্বোচ্চ প্রজননকাল চিহ্নিত করেছেন। তাই এ বছরই প্রথম ১১ দিনের পরিবর্তে ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞার সময় সীমা ২২ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। শুধু আহরণই নয়, ইলিশ সংরক্ষণ, পরিবহন ও বিপণনও এ সময় নিষিদ্ধ করা হয়েছে।



তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো বলেন, ইলিশ শিকারে সরকারি নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশী জেলেরা মানলেও মিয়ানমার ও ভারতীয় জেলেরা এসব নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে বাংলাদেশের জলসীমায় অবৈধ অনুপ্রবেশ করে নির্বিঘ্নে মাছ শিকার করে যাচ্ছে। এতে প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণ ও প্রজননে বাংলাদেশ সরকারের উদ্দেশ্য ভেস্তে যাচ্ছে।
সূত্রঃ www.bangladeshtoday.net














You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.