Beanibazarview24.com
বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হ’ত্যা মা’মলায় গ্রে’ফতার বুয়েটেরই আরেক ছাত্র অনিক সরকারকে কা’রাগারে পি’টিয়েছে আ’সামিরা।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে গ্রেফতারের পর রি’মান্ড শেষে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানব’ন্দি দেওয়ার পর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছতেই ক্ষু’ব্ধ বন্দী’রা হা’মলে পড়ে অনিকের ওপর। কারারক্ষীদের প্রাণান্ত’কর চেষ্টায় রক্ষা পান অনিক।
সূত্র বলছে, আবরারের মতো মেধাবী ছাত্রের এমন নি’র্মম মৃ’ত্যু অন্য সব সাধারণ মানুষের মতো মেনে নিতে পারেননি কা’রাবন্দী কয়েদি এবং হাজতিরাও। ম’দ্যপ অবস্থায় অনিক কয়েক দফায় আবরারকে মা’রধর করেছিল। গু’রুতর অবস্থায় আবরার দুই দফা ব’মি করলেও অনিকের ভ’য়ঙ্কর রূপ থেকে রক্ষা পায়নি মৃতপ্রায় আবরার।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ হ’ত্যাকাণ্ড ফলাও করে প্রচার হওয়ায় এর খুঁটিনাটি জানতে পারেন কা’রাবন্দীরাও। ঘটনার পর দিনই অনিককে গ্রে’ফতার করে ডিবি পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। প্রথম দফা রিমান্ড শেষে দ্বিতীয় দফায় রি’মান্ডে নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
তবে আদালতে যাওয়ার পর ১৬৪ ধারায় স্বী’কারোক্তি দিতে সম্মত হয় সে। পরবর্তীতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলামের আদালতে জবানবন্দি শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কেরানীগঞ্জ আদালতে পৌঁছে অনিক সরকারকে বহন করা প্রিজন ভ্যান। আনুষ্ঠনিকতা শেষে প্রধান ফটক দিয়ে কা’রাগারে প্রবেশ করে সে। কারাগারের সেলে ঢোকার সময়ই তাকে মা’রধর করেন কা’রাবন্দীরা।
পরে তাকে অন্যত্র সরিয়ে নেয় কারা কর্তৃপক্ষ। যদিও এ বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেনি কারা কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, অনিক সরকারের বাড়ি রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার বড়ইকুড়ি গ্রামে। অনিক ওই গ্রামের বাসিন্দা ও কাপড় ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
তাদের গ্রামের বাড়ি উপজেলার কৃষ্ণপুরে হলেও ব্যবসায়িক কাজে পুরো পরিবার মোহনপুর উপজেলা সদরের বড়ইকুড়ি গ্রামে বসবাস করে। দুই ভাইয়ের মধ্যে অনিক ছোট। এ ছাড়া তাদের পেট্রল পাম্প এবং সারের ডিলারশিপের ব্যবসা রয়েছে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.