Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

কোটি টাকা আয় করেও সাকিবরা ভুলেননি সতীর্থদের







সাকিব আল হাসানের বক্তব্যটা খেয়াল করেছেন? আবার পড়ে দেখুন, ‘ ধরেন, একটা ছেলে রাজশাহী থেকে কক্সবাজার যাবে। তাকে ২৫০০ টাকা দেয়া হচ্ছে যাওয়ার জন্য। বাস ছাড়া সে কিভাবে যাবে? তাদের বিমান দেয়া উচিত। টিকিটটা ডিভিশন করে দিক, আপত্তি নেই। আর চারদিনের ম্যাচ খেলে ফ্রেশনেসের জন্য হোটেলে কমপক্ষে একটা জিম, একটা সুইমিংপুল থাকা উচিত। খেলোয়াড়দের প্রতিদিনের ভাতা ১৫০০ টাকা, এটা হতে পারে না। তাদের যে ফিটনেস লেভেল দাবি করছে বিসিবি, সেটা মেইন্টেন করতে এই টাকার খাবারে হবে না।’



জাতীয় লিগের ম্যাচগুলোর মাঝে দুই-তিনদিনের গ্যাপ থাকে। ক্রিকেটাররা ২৫০০ টাকায় বাসে করে এক জেলা থেকে আরেক জেলায় যাচ্ছেন। ভ্রমণ ক্লান্তি নিয়েই অনুশীলন করে নেমে পড়ছেন পরের ম্যাচ খেলতে। যে হোটেলে থাকছেন সেখানে নেই কোনো জিম, সুইমিং পুল। নিজেদের শরীর খেলার উপযুক্ত করে তুলবেন কীভাবে? দেশের ক্রিকেট কর্মকর্তারা এসব নিয়ে ভাবেন না। তারা একেকজন ক্লাবের মালিক হওয়ার ধান্দা আর বিসিবির নির্বাচনের সময় কাউন্সিলর ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। কোনো সিরিজ হলে বিসিবির টাকায় দলবেঁধে বিমানে চেপে ফাইভ স্টার হোটেলে থেকে আয়েশ করেন।



সাকিব-তামিম-মুশফিক-রিয়াদদের মতো প্রথম সারির ক্রিকেটাররা কোটি কোটি টাকা আয় করেন। তারা চাইলেই ব্যক্তিগত খরচে বিমানে উঠতে পারেন। ঢাকা থেকে কক্সবাজার উড়ে গিয়ে মাঠে নামতে পারেন। নিজ খরচে বিদেশে গিয়ে ট্রেনিং কিংবা দামি হোটেলে থাকতে পারেন। নিজেদর পছন্দমতো খাবার খেয়ে ফিটনেস ঠিক রাখতে পারেন। এখন অনেকেই বলবেন, এত আয়ের পরও তাদের আরও টাকা কেন দরকার? কেন জাতীয় লিগে ক্রিকেটারদের বেতন আরও বাড়ানোর কথা বলছেন তারা? এখানেই রয়েছে সাকিবদের মহত্ব। তারা নিজেরা প্রচুর আয় করেও তাদের চেয়ে কম আয় করা সতীর্থদের ভুলে যাননি।



জাতীয় দলের বাইরে যেসব ক্রিকেটার ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেন তাদের আয় তো সাকিবদের মতো নয়। কিংবা একজন নতুন ক্রিকেটার, যে সদ্য উঠে আসছে তার পক্ষে কি ব্যক্তিগত খরচে এতকিছু করা সম্ভব? মোটেই নয়। অথচ ঘরোয়া ক্রিকেটকেই বলা হয় ক্রিকেটার তৈরির আঁতুড়ঘর। যে কারণে সাকিবরা শুধু নিজেদের জন্য নয়; দেশের সকল পর্যায়ের ক্রিকেটারদের জন্য এই ১১ দফা দাবি জানিয়েছেন। যাতে তাদের চেয়ে কম আয় করা এবং নতুন ক্রিকেটাররা পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা পান। যেটা একদিক দিয়ে দেশের জন্য যেমন গর্বের, আরেক দিক দিয়ে লজ্জার।



এই কারণে লজ্জার যে, এগুলো ক্রিকেটারদের দাবি করার কথা নয়। ক্রিকেট বোর্ডের আবশ্যিক দায়িত্ব হলো ক্রিকেটারদের এসব সুযোগ সুবিধা প্রদান করা। কিন্তু বিশ্বের চতুর্থ ধনী ক্রিকেট বোর্ড এসব নিয়ে যখন মাথা না ঘামায়, তখন ক্রিকেটারদের বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নামতে হয়েছে। ক্রিকেটারদের ফিটনসের জন্য আবশ্যিক হলো স্বাস্থ্যকর খাবার। কিন্তু জাতীয় লিগের দুপুরের খাবারে খাওয়ানো হয় ভাত, মাছ, মাংস, চিংড়ি, ভর্তা, ডাল! তাহলে বলুন, এই খাবারগুলো কীভাবে ক্রিকেটারদের ফিটনসে ধরে রাখতে সহায়তা করবে! বিসিবির কর্তারা বড় বড় কথা বলেন, অথচ গোড়াতেই সব গলদ।














You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.