Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

নারীসহ চট্টগ্রামের এএসপি আ’টক, অতঃপর…







চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) কামরুল হাসানকে এক তরুণীসহ আ’টক করে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার পুলিশ। জেলা মহিলা পরিষদের সহযোগিতায় রংপুর মহানগরীর বনানীপাড়ার এক বাড়ি থেকে তাকে আ’টক করা হয়।

এরপর গভীর রাতে তাদের ৫১ লাখ টাকা দেনমোহরানায় বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের পর পুলিশ তাদের ছেড়ে দেয়।



আরপিএমপি কোতোয়ালি থানার ওসি আবদুর রশিদ জানান, রংপুর জেলা মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদিকার অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশের একটি দল মঙ্গলবার রাতে ওই অভিযান চালায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের এপিবিএনে কর্মরত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) কামরুল হাসানকে নগরীর বনানীপাড়ার একটি বাড়ি থেকে এক তরুণীসহ আ’টক করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জানা যায় তারা স্বামী-স্ত্রী। তারপর তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।



তবে জেলা মহিলা পরিষদ, পারিবারিক ও পুলিশের একটি সূত্র জানায়, থানায় আ’টকের পর গভীর রাতে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যস্থতায় উভয় পরিবারের সম্মতিক্রমে কাজী ডেকে আনা হয়। পরে তাদের থানার পাশে জেলা পুলিশের মালিকানাধীন একটি হোটেলে তাদের বিয়ে দেয়া হয়। তবে কাজীর খাতায় রেজিস্ট্রি দেখানও হয় ২১ অক্টোবরের (ব্যাক ডেটে)।

রংপুর জেলা মহিলা পরিষদ রংপুরের সম্পাদিকা রোমানা জামান বলেন, রংপুরের মিঠাপুকুরের বালারহাটের মৃ’ত তোফাজ্জল হোসেন ও মাতা আয়েশা বেগমের মেয়ে রেকাসানা পারভীন। সে ২০১৫ সালে কারমাইকেল কলেজে ইংরেজি বিভাগ থেকে পাস করে। সে আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করে জানান, তার সঙ্গে এক বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জের উপজেলার পশ্চিম দলিরাম মাগুড়া গ্রামের আমজাদ হোসেন ও মাতা কহিনূর বেগমের ছেলে কামরুল হাসানের। তিনি চট্টগাম জেলা পুলিশের এপিবিএনে পুলিশের এএসপি হিসেবে কর্মরত।



তিনি জানান, স্মৃতিকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দৈ’হিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা। শুরুতেই সিওবাজার সরদারপাড়া এলাকায় ওই পুলিশ কর্মকর্তা বাড়িভাড়া নিয়ে তার সঙ্গে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে থাকা শুরু করে। ওই বাসার মালিক বিষয়টি বুঝতে পারেন। পরে ওই বাসা থেকে তাদের বের করে দেন। এরপর তিন মাস আগে বনানীপাড়ার সিদ্দিক হোসেনের বাড়ির দোতলার ফ্ল্যাট সাত হাজার টাকায় ভাড়া নেন তারা।

রোমানা জামান বলেন, ওই পুলিশ কর্মকর্তা বাড়ির মালিককে বলেন- আমার স্ত্রী এখানে থাকবে। আমি বাইরে চাকরি করি। মাঝে মাঝে আসব। এভাবে রাজশাহীতে ট্রেনিং থাকা অবস্থায় ওই বাসায় এসে তার সঙ্গে থাকত ওই পুলিশ কর্মকর্তা। এরই মধ্যে সে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ের জন্য চাপ দিলে তিনি বিভিন্ন কৌশলে এড়িয়ে যেতেন। পরে মেয়েটি আমাদের কাছে লিখিত আবেদন করে এর প্রতিকার চান।



মহিলা নেত্রী রোমানা আরও জানান, ট্রেনিং শেষে ১২ দিনের ছুটি কাটাতে ওই পুলিশ কর্মকর্তা মঙ্গলবার বনানীপাড়ার ওই বাসায় আসেন। এরপর তার কর্মস্থলে যোগ দেয়ার কথা ছিল তার। এ সময় বাসায় পুনরায় মেয়েটি তাকে বিয়ের কথা বললে ৬ মাস পর বিয়ে করার কথা জানায় ওই পুলিশ কর্মকর্তা। পরে সে ঘরের বাইরে তালা লাগিয়ে আমাদের খবর দেয়। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় মঙ্গলবার মাগরিবের নামাজের পর বনানীপাড়া থেকে মেয়েটিসহ ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে আ’টক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।



এরপর বিভিন্নভাবে ওই পুলিশ কর্মকর্তা থানা থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু মেয়েটি বিয়ের দাবিতে অনড় থাকায় অবশেষে পুলিশ কর্মকর্তা বিয়েতে সম্মত হয়। এরপর পুলিশের মধ্যস্থতায় মঙ্গলবার রাত ৩টায় হোটেল তিলোত্তমায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৫১ লাখ ১ হাজার ৫৩ টাকা দেনমোহর নির্ধারণ করে বিয়ে দেয়া হয়। তবে কাবিননামায় ২১ অক্টোবরের তারিখে রেজিস্ট্রি করানো হয়।

তিনি জানান, বিয়ে পড়ানোর সময় আমাদের কোনো প্রতিনিধি সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। তবে আমরা একটি নারীর অসহায় মুহূর্তে তাকে সহযোগিতা করেছি। এভাবে মহিলা পরিষদ অসহায় নারীদের পাশে আছে এবং থাকবে।

এ ব্যপারে রোকসানা পারভীন বলেন, প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলার পর বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে আমার সঙ্গে গভীর সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা। কিন্তু আমাকে বিয়ে করছিলেন না। একপর্যায়ে আমি মহিলা পরিষদের স্মরণাপন্ন হলে তাদের সহযোগিতায় আমাদের একটি বাসা থেকে থানায় আনা হয়। আমাদের বিয়ে দেয়া হয়।

তিনি জানান, আমাকে যেন স্ত্রীর মর্যাদা নিশ্চিত করা হয়, সেটা আমি চাই। যাতে আমি আর কোনোভাবে প্রতারিত না হই। এ ব্যাপারে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) আলতাফ হোসেন জানান, বিষয়টি থানা অবহিত। এর বেশি কিছু বলতে চাননি তিনি।
সূত্রঃ যুগান্তর

You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.