Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

ফাঁ’সি নয়, খু’নিদের পুড়িয়ে মারার দাবি নুসরাতের মায়ের







দেশের বহুল আলোচিত সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হ’ত্যা মা’মলার রায় ঘোষণা করা হতে পারে বৃহস্পতিবার। ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ এ রায় ঘোষণা করবেন। এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ওই বিচারক রায়ের তারিখ ঘোষণা করেন।

নুসরাত হ’ত্যা মা’মলার রায়কে ঘিরে ফেনী ও সোনাগাজীতে বিভিন্নস্থানে বাড়তি নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।



এদিকে নুসরাতের হ’ত্যাকারীদের ক’ঠিন শা’স্তি দেখে যেতে চান নুসরাতের মা শিরিন আক্তার। রায়ের পর পরিবারের সদস্যদের বাড়তি নিরাপত্তাও চান তিনি। এ ছাড়া রায়ের দ্রুত কার্যকরও চান তিনি।

চলতি বছরের ১০ এপ্রিল পাঁচদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পোড়া যন্ত্রণা ভোগ করে না ফেরার দেশে চলে যান যৌন নিপীড়নের প্রতিবাদের কারণে গায়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে দেয়া ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি।



তার পোড়া যন্ত্রণা নিয়ে চলে যাওয়ার সেই স্মৃতি গত ছয় মাসে একমুহূর্তের জন্যও ভুলতে পারেননি বলে জানিয়েছেন মা শিরিন আক্তার।

তিনি বলেন, ‘ঘুরে-ফিরে চোখের সামনে ভাসে ঝলসে যাওয়া নুসরাতের সেই বীভ’ৎস ছবি, মেয়ের শরীরের পোড়া গ’ন্ধ এখনও নাকে এসে লাগে। আমি ঘুমাতে পারি না।’

বুধবার দুপুরে ফেনীর সোনাগাজী পৌর এলাকার উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামে নুসরাতের বাড়িতে গেলে শিরিন আক্তারের সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের।

গলার কাছে, বুকের ভেতর দলা পাকিয়ে ওঠা য’ন্ত্রণা আড়াল করে মেয়ের স্মৃতিচারণ করতে থাকেন পঞ্চশোর্ধ্ব এই নারী। তবে ক্ষণে ক্ষণে হাউমাউ করে কান্নায় ভেঙে পড়েন।



শিরিন আক্তার বলেন, ‘সেই ঘটনা সারাক্ষণ মনে ভাসে, শরীর ভারি হয়ে আসে। চলাফেরা করতে পারি না। ওই ঘটনার পরপরই মা’নসিক সম’স্যা দেখা দিয়েছে।’ তবে কোনো ডাক্তারের কাছে যাননি বলেও জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার নুসরাত হ’ত্যা মামলার রায় প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন ‘আমি চাই, অভিযু’ক্ত প্রত্যেক আ’সামির স’র্বোচ্চ সাজা হোক।’

শিরিন আক্তার বলেন, ‘আমার একমাত্র মেয়েকে ঘা’তকরা যেভাবে হাত-পা বেঁধে পুড়িয়ে হ’ত্যা করেছে, তেমন কঠিন সাজা যেন দেয়া হয় অভি’যুক্ত প্রত্যেক আসামিকে। তাদের ফাঁ’সি দিলে তারা বিনা য’ন্ত্রণায় মরে যাবে। তাদেরও আমার মেয়ের মতো পুড়িয়ে সাজা কার্যকর করলে মৃ’ত্যুর যন্ত্রণা বুঝতে পারত।’



নুসরাতের মৃ’ত্যুর পর থেকে তার শ’য়নকক্ষে খাটের ওপর শুয়ে-বসে আহাজারি করেই সময় কাটে শিরিন আক্তারের। ঘোরলাগা চোখে তিনি বলেন, রাতে তন্দ্রায় চোখ জুড়িয়ে এলে নুসরাতের মা মা ডাকে তন্দ্রা ছুটে যায়। তারপর আমার মেয়েটাকে খুঁজতে থাকি।

প্রসঙ্গত, সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী ছিলেন নুসরাত। গত ২৭ মার্চ ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে তিনি যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে ২৭ মার্চ সোনাগাজী থানায় মা’মলা দায়ের করেন।



এরপর অধ্যক্ষকে গ্রে’ফতার করে পুলিশ। পরে মা’মলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে নুসরাতের পরিবারকে হু’মকি দেয়া হয়। ৬ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে আলিম পর্যায়ের আরবি প্রথমপত্রের পরীক্ষা দিতে ওই মাদ্রাসার কেন্দ্রে যান নুসরাত।

এ সময় তাকে পাশের বহুতল ভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়া হয়। ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুসরাত মা’রা যায়। এ ঘটনায় নুসরাতের বড় ভাই বা’দী হয়ে ৮ এপ্রিল সোনাগাজী মডেল থানায় মা’মলা করেন।














You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.