Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

আদালত চত্বরে স্বজনদের আ’হাজারি, আ’সামিদের নির্দো’ষ দাবি







বহুল আলোচিত মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হ’ত্যা মা’মলায় রায় ঘোষণার পর ফেনীর আদালত চত্বরে আ’সামিদের স্বজনদের আহাজারি করতে দেখা গেছে। এ হ’ত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাদের সন্তান-স্বজনরা কোনোভাবেই জড়িত নয় বলে দাবি করেন তারা।

বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ এ হ’ত্যা মা’মলায় অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাসহ ১৬ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন।



নুসরাত হ’ত্যা মা’মলার আ’সামি নুর উদ্দিনের মা রাহেলা বেগম বলেন, অধ্যক্ষের মুক্তির দাবিতে বিক্ষো’ভ ও মানবন্ধনে নেতৃত্ব দেয়ার কারণে আমার ছেলেকে এ মা’মলায় ফাঁ’সানো হয়। মা’মলায় ৮৭ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছে তাদের মধ্যে কোনো সাক্ষী আমার ছেলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয়নি। পিবিআই তিন ঘণ্টা ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে তার স্বীকারোক্তি আদায় করেছে। এ মামলার সঙ্গে আমার ছেলে কোনোভাবেই জড়িত নয়।
তিনি বলেন, আমরা অভাবি মানুষ। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে আমার ছেলেকে আমার কোলে ফিরে ফেতে চাই।



আরেক আ’সামি মো. শামীমের মা হোসনে আরা বেগম তার ছেলেকে নির্দো’ষ দাবি করে বলেন, এ মামলায় শামীমকে ঘর থেকে ধরে এনে ফাঁ’সানো হয়েছে।

কে ফাঁ’সিয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তা জানি না। নুসরাতের ঘটনার দিন আমার ছেলে আলিমের আরবি প্রথমপত্র পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পায়। এরপরও সে পরীক্ষায় অংশ নেয়। আমার ছেলে নিস্পাপ।

আবদুর রহিম শরীফের মা নুর নাহার কেঁ’দে কেঁ’দে বলেন, আমার ছেলে কোনোভাবেই নুসরাত হ’ত্যা মা’মলার সঙ্গে জড়িত নয়। অধ্যক্ষের সঙ্গে সুসম্পর্কের কারণে তাকে ফাঁ’সানো হয়েছে। আমরা এ রায় মানি না। উচ্চ আদালতের মাধ্যমে আমার ছেলেকে নির্দো’ষ প্রমাণ করে ছাড়িয়ে আনবো।



আদালত প্রাঙ্গণে নুসরাত হ’ত্যা মা’মলার আ’সামি জাবেদ হোসেনের ভাই জাহেদ হোসেন, এমরান হোসেন মামুনের বাবা এনামুল হক ও কামরুন নাহার মনির মায়ের সঙ্গেও কথা হয়। আদালত প্রাঙ্গণে উচ্চ স্বরে কেঁ’দে কেঁ’দে তারা এ মা’মলার রায় প্রত্যাখ্যান করেন।

মৃ’ত্যুদ’ণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার ব’হিষ্কৃত অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা, নূর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, সোনাগাজীর পৌর কাউন্সিলর মাকসুদ আলম, সাইফুর রহমান মোহাম্মদ জোবায়ের, জাবেদ হোসেন ওরফে সাখাওয়াত হোসেন জাবেদ, হাফেজ আব্দুল কাদের, আবছার উদ্দিন, কামরুন নাহার মনি, উম্মে সুলতানা ওরফে পপি ওরফে তুহিন ওরফে শম্পা ওরফে চম্পা, আব্দুর রহিম শরীফ, ইফতেখার উদ্দিন রানা, ইমরান হোসেন ওরফে মামুন, মোহাম্মদ শামীম, মাদরাসার গভর্নিং বডির সহ-সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি রুহুল আমীন ও মহিউদ্দিন শাকিল।



উল্লেখ্য, গত ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌ’ন নিপী’ড়নের দায়ে ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে আ’টক করে পুলিশ। পরে ৬ এপ্রিল ওই মাদরাসার কেন্দ্রের সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে নিয়ে অধ্যক্ষের সহযোগীরা তার শরীরে আ’গুন ধরিয়ে দেয়। ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বা’র্ন ইউনিটে মারা যান নুসরাত জাহান রাফি।



এ ঘটনায় মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে প্রধান আ’সামি করে ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞা’ত আরও ৪/৫ জনকে আ’সামি করে নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান ৮ এপ্রিল সোনাগাজী মডেল থানায় মা’মলা দায়ের করেন।

নুসরাত হ’ত্যা মা’মলায় পুলিশ ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাসহ ২১ জনকে বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফ’তার করে। পরে ২৯ মে ১৬ জনকে আসামি করে ৮০৮ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র দাখিল করে পিবিআই।














You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.