Beanibazarview24.com
বাংলাদেশের ক্রিকেটে এক বিতর্কিত নাম খালেদ মাহমুদ সুজন। জাতীয় দলের সাবেক এই অল-রাউন্ডার বর্তমানে বিসিবিতে বহুবিধ দায়িত্বে আছেন। তাকে জাতীয় দলের ভারপ্রাপ্ত কোচ হিসেবেও মাঝেমধ্যে দেখা যায়। সুজনের ক্যাসিনোপ্রীতির কথা সবার জানা।
দুইবার তো ধরাই পড়েছেন ক্যামেরায়। ঘরোয়া লিগে তিনি একাধিক দলের কোচ। যে ঘরোয়া লিগের ম্যাচ ফিক্সিং বন্ধের দাবি তুলেছিলেন ক্রিকেটাররা। ক্রিকেটারদের সঙ্গে বিসিবি সভাপতির সভায় তাই ধমক খেতে হয়েছে সুজনকে।
তিনদিনের ধর্মঘটে দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে অচলাবস্থা বিরাজ করছিল। গত পরশু রাতে সবকিছু সমাধান হয়। এর আগে সুজন বলেছিলেন, রোয়া ক্রিকেটে পক্ষপাতমূলক আম্পায়ারিং আর পাতানো ম্যাচের অভিযোগও নাকি খেলোয়াড়দেরই সাজানো নাটক! ধর্মঘটের প্রথম দুদিন তিনি এভাবেই ক্রিকেটারদের দায়ী করে আসছিলেন। তার এমন বক্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষিপ্ত ছিলেন ক্রিকেটাররা।
বোর্ডের সঙ্গে বুধবারের বৈঠকে আবারও আপত্তিকর মন্তব্য করে সাকিবদের তোপের মুখে পড়েন খালেদ মাহমুদ সুজন। তাকে একহাত নেন বিসিবি সভাপতিও।
গত ২২ অক্টোবরের সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল হাসান একপর্যায়ে স্বীকার করেন, বিসিবির পরিচালক হয়েও জাতীয় দলের ম্যানেজার হিসেবে খালেদ মাহমুদের বেতন নেওয়া, ঘরোয়া ক্রিকেটে বিভিন্ন দলের কোচিং করানো স্বার্থের সংঘাত সৃষ্টি করছে।
পরদিন ক্রিকেটারদের সঙ্গে সভায় সুজন বারবার খেলোয়াড়দেরই অভিযোগের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর চেষ্টা করলে একপর্যায়ে তার ওপর খেপে যান বোর্ড সভাপতি। উচ্চ স্বরে তিনি বলে ওঠেন, ‘চুপ করো। তুমি আর কথা বলবা না। একটা কথাও না। তোমার লজ্জা লাগে না! টাকা নাও আবার কথা বলো! আমাকে অনেক ভুল বুঝাইছ এত দিন।’
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.