Beanibazarview24.com
বুধবার লন্ডনের এসেক্সে ৩৯টি মৃ’তদে’হসহ একটি ট্রাক উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ট্রাক থেকে এক তরুণীরও লা’শ উ’দ্ধার করা হয়। তার নাম ফাম থি ট্রা মাই। ‘মা আমি শ্বাস নিতে পারছি না, খুব ক’ষ্ট হচ্ছে’। এটাই ছিল ফাম থি ট্রা মাই-র পাঠানো শেষ বার্তা। তারপর আর ওই তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি পরিবার। লন্ডনে উ’দ্ধার হওয়া অ’ভিশপ্ত ট্রাকের খোলে পাওয়া যায় ফামের জমে কাঠ হয়ে যাওয়া মৃ’তদেহ।
‘হিউম্যান রাইটস স্পেস’ নামের ভিয়েতনামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মতে, মৃ’ত ফাম থি ট্রা মাই ভিয়েতনামের নাগরিক। পরিবারের তরফে ফামের পাঠানো মেসেজটিও পেয়েছে তারা। বেলজিয়াম থেকে ব্রিটেনের দিকে যখন ট্রাকটি রওনা দেয়, সম্ভবত তখনই কন্টেনারের ভিতর অক্সিজেন ফুরিয়ে আসতে শুরু করে। এবং আসন্ন মৃ’ত্যুর কথা বুঝতে পেরেই মায়ের মোবাইলে ওই মেসেজটি পাঠায় ফাম। সেখানে লেখা ছিল, ‘মা-বাবা, আমার বিদেশযাত্রা সফল হয়নি। আমি শ্বাস নিতে পারছি না।
খুব কষ্ট হচ্ছে। আমি যা করেছি তার জন্য আমায় ক্ষমা করে দিও। আমি তোমাদের খুব ভালবাসি।’ মনে করা হচ্ছে, ভিয়েতনাম থেকে কাজের খোঁজে চিনে যান ফাম। সেখান থেকে ফ্রান্স হয়ে ইংল্যান্ডে প্রবেশ করার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। তবে নিয়তি যে তাঁকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেবে তা তিনি বুঝতে পারেননি।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির দাবি, মৃতদের মধ্যে অন্তত ১০ জন ভিয়েতনামের নাগরিক। লন্ডনে নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, দেশে অনেকেই নিখোঁজ পরিজনদের বিষয়ে তাঁর কাছে জানতে চাইছেন।
এদিকে, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চার সন্দেহভাজনকে গ্রে’প্তার করেছে লন্ডন পুলিশ। তাদের জেরা করা হচ্ছে। ট্রাকটির ড্রাইভের রবিনসনকে এখনও জেরা করা হচ্ছে। লন্ডন মেট্রোপলিটান পুলিশ আগেই জানিয়েছিল, ৩৯ জন মৃ’তের প্রায় সবাই চীনা নাগরিক। তবে চীনা দূতাবাস জানিয়েছে, মৃ’তদের পরিচয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখনও তাঁদের নাগরিকত্ব নিয়ে সংশয় রয়েছে।
তদন্তে জানা যায়, মৃ’তদেহ ভর্তি কন্টেনারটি চীন থেকে প্রায় ৫ হাজার মাইল সফর শেষ করে বেলজিয়াম হয়ে জলপথে পূর্ব ল’ন্ডনে ঢুকেছিল। কন্টেনারটি দুবার ইংলিশ চ্যানেল পার করে। দীর্ঘযাত্রা পথই স্পষ্ট বলে দেয় যে বেশ কয়েকদিন ধরেই কন্টেনারটির ভেতরে ব’ন্ধ ছিল হতভাগ্যরা। প্রচণ্ড ঠান্ডায় ও অক্সিজেনের অভাবে দমব’ন্ধ হয়েই তাঁদের মৃ’ত্যু হয়েছে। উ’দ্ধারের সময় মৃ’তদেহগুলি জমে কাঠ হয়ে ছিল।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.