Beanibazarview24.com
এবার রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দীন আহম্মেদকে পুকুরে ডুবালো ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে নিজ কার্যালয়ে যাওয়ার সময় কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী তাকে ধরে চেংদোলা করে তুলে নিয়ে ১২ থেকে ১৫ ফুট গভীর পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়।
অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দীন আহম্মেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিভিন্ন সময় ছাত্রলীগের ছেলেরা অন্যায় দাবি নিয়ে আসতো আমার কাছে। তাদের ওইসব দাবি না মানায় তারা আমার উপর ক্ষুব্ধ ছিল। বেশিরভাগ সময় তাদের দাবিগুলো মানার মত থাকে না।’
অধ্যক্ষ আরো বলেন, ‘ক্লাসে উপস্থিতি কম থাকায় দুইজন ছাত্রের ফরম পূরণ হয়নি। সেই দুই ছাত্রের ফরম পূরণ করানোর জন্য সকালে কয়েকজন আমার কাছে এসেছিল। কিন্তু আমি তাদের বিভাগীয় প্রধানের কাছে যেতে বলি। এ সময় তারা আমাকে নিয়ে আমার সামনেই অশালীন মন্তব্য করে। এতে বিরক্ত হয়ে তাদের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে আমিও কয়েকটি কথা বলি। এরপর তারা আমার উপর ক্ষুব্ধ হয়ে বের হয়ে যায়।’
অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দীন বলেন, ‘দুপুরে নামাজ পড়ে অফিসে যাওয়ার সময় কামাল হোসেন সৌরভ আমার পথ আটকে দাঁড়িয়ে বলে, স্যার কথা আছে। একটু পুকুরের দিকে আসেন। আমি যেতে না চাইলে তারা আমাকে তুলে নিয়ে গিয়ে পুকুরে ফেলে দেয়। এরপর তারা পালিয়ে যায়। তাদের মধ্যে দুইজনের মুখ বাধা ছিল।’
অধ্যক্ষ আরো বলেন, ‘পুকুরের যেখানে আমাকে তারা ফেলে দিয়েছে সেখানকার পানির গভীরতা ছিল ১২ থেকে ১৫ ফুট। আমি সাঁতার জানতাম বলে বেঁচে গেছি। আমি দ্রুতই সাঁতার কেটে পাড়ে চলে এসেছি। সাঁতার না জানলে হয়তো আজই শেষ হয়ে যেতাম। এ ঘটনায় থানায় মামলা করবেন বলেও জানান তিনি।’
এ ব্যাপারে রাজশাহী পলিটেকনিক ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান রিগেন বলেন, ‘অধ্যক্ষকে পুকুরে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় ছাত্রলীগের ছেলেরা জড়িত কি না তা এখনো নিশ্চিত নয়। বিষয়টি আমার খতিয়ে দেখছি। এ ঘটনার সঙ্গে ছাত্রলীগের কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ ব্যাপারে নগরীর চন্দ্রিমা থানার ওসি শেখ গোলাম মোস্তাফা বলেন, খবর পেয়ে পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.