Beanibazarview24.com
এক মুসলিম নারীর বাড়ির বাগানে অবৈধভাবে গির্জা নির্মাণের অ’ভিযোগে তা ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে ইউরোপীয় একটি আদালত। আগামী ৯০ কর্মদিবসের মধ্যে নির্দেশটি বাস্তবায়নের সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে।
গত ১ অক্টোবর ইউরোপীয়ান কোর্ট অব হিউম্যান রাইটস (ইসিএইচআর) এ নির্দেশ দেন।
তুরস্ক ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইয়ানি শাফাকেরখবরে বলা হয়, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনায় ১৯৯২-১৯৯৫ সালে যু’দ্ধ চলাকালীন সময়ে ফাতা ওরলোভিচ তার ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন। বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার যু’দ্ধকা’লীন সময় পর্যন্ত দেশটির শ্রাব্রিনিসা উপশহরে স্বামী এবং সন্তানদের নিয়ে বসবাস করতেন তিনি। ১৯৯৫ সালে এ অঞ্চলে ঘটে যাওয়া গণহ’ত্যা স্বচক্ষে দেখেছেন ফাতা।
এ যু’দ্ধে স্বামী সাজির ওরলোভিচসহ অন্তত ২২ জন নিকটাত্মীয়কে হা’রান ফাতা। আর এসময় যু’দ্ধের কারণে বাধ্য হয়ে ঘর বাড়ি ছেড়ে চলে যান তিনি। পরে ১৯৯৯ সালে যু’দ্ধ শেষ হলে তিনি আবার নিজ বাড়িতে ফিরে আসেন। তখন বাড়ি থেকে মাত্র ৩০ মিটার দূরে নবনির্মিত একটি গির্জা দেখতে পান ফাতা। ওই গির্জাটি তার জায়গায় তাকে না জানিয়ে এক সার্বিয়ান অ’বৈধভাবে নির্মাণ করেছে।
এরপর নিজ জমি থেকে গির্জা অপ’সারণের জন্য আইনি ল’ড়াইয়ের সি’দ্ধান্ত নেন ফাতা। এসময় গির্জা কর্তৃপক্ষ তাকে জমির মূল্য পরিশো’ধ করার কথা জানালেও ফাতা তা প্র’ত্যাখ্যান করেন। সবশেষ আদালতের মাধ্যমে নিজের জায়গা আবারও ফেরত পেলেন ফাজা।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ ও ২০০১ সালের চুক্তি অনুযায়ী বসনিয়ার সার্ব কর্তৃপক্ষ পালিয়ে যাওয়া নাগরিকদের দ’খলকৃত জমি ফি’রিয়ে দিতে বাধ্য।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.