Beanibazarview24.com
বড়লেখায় ইউএনও’র তৎপরতায় দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীর বাল্যবিয়ে রোধ হয়েছে। উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের সুরমা কমিউনিটি সেন্টারে বৃহস্পতিবার বিয়ের প্রস্তুতিকালে প্রশাসনের কর্মকর্তারা পুলিশ নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন। এ খবরে বরপক্ষ বিয়ের আসরে না পৌঁছে মাঝ পথ থেকে সটকে পড়ে। পরে কনের মা, মামা ও নানাকে আটক করে পুলিশ। অবশেষে মুচলেকা দিয়ে তারা ছাড়া পেয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, সিলেট সদরের কাজীর বাজারের খালপার এলাকার আলম হোসেনের (২৮) সঙ্গে বড়লেখার ভাটাউচি গ্রামের প্রবাসী আব্দুল কালামের কিশোরী মেয়ে স্থানীয় হাইস্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রীর বিয়ে ঠিক হয়। বৃহস্পতিবার বড়লেখার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের সুরমা কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ের আয়োজন চলছিল। গোপন সংবাদে ইউএনও মো. শামীম আল ইমরান থানা পুলিশ ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের এ বাল্যবিয়ে বন্ধের ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন।
ইউএনও’র নির্দেশে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার প্রতিনিধিরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও একদল পুলিশ নিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠানস্থলে গিয়ে কনের বয়স ১৬ বছর নিশ্চিত হয়ে এ বাল্যবিয়ে বন্ধ করেন।
এসময় পুলিশ কনের মা সুলতানা বেগম, মামা আব্দুল মালিক ও নানা আফছার আলীকে আটক করেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বর আলম হোসেন বরযাত্রী নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে না পৌঁছে মাঝ পথ থেকে সটকে পড়ে। অবশেষে সন্ধ্যায় কনের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার আগে বিয়ে না দেয়ার শর্তে মুচলেকা দিলে পুলিশ কনের মা, মামা ও নানাকে ছেড়ে দেয়।
ইউএনও মো. শামীম আল ইমরান বড়লেখায় দশম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অনলাইন নিবন্ধন অনুযায়ী মেয়েটির জন্ম তারিখ ১৬.১২.২০০৩। কিন্তু অভিভাবকরা ২০০০ সাল লিখে জাল জন্মনিবন্ধন তৈরী করে বাল্যবিয়ে দেয়ার চেষ্টা চালায়। তিনি খবর পেয়ে তা বন্ধ করেছেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.