Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

বিয়ানীবাজারে প্রেমে বাঁধা দেয়ায় প্রেমিকার বাবাকে গলাকেটে হত্যা

বিয়ানীবাজারে নির্মাণ শ্রমিক নজরুল ইসলামের মেয়ের সাথে পাশের গ্রামের আব্দুল মুবিন লিমনের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ঘটনাটি জেনে যান মেয়ের বাবা নজরুল ইসলাম। মেয়ের সাথে লিমনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এ ঘটনার প্রায় দুই মাস প্রেমিকার সাথে যোগযাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় লিমন রাগে ক্ষোভে মোবাইল ফোনে কাজের কথা বলে বাইরে ডেকে নেয় নজরুল ইসলামকে। পরে গ্রামের রাস্তার একটি নির্জন স্থানে নিয়ে প্রথমে কাঠের একটি লাঠি দিয়ে নজরুল ইসলামের মাথায় আঘাত করে লিমন এবং পরে একটি ধারালো ছুরি দিয়ে নজরুল ইসলামের গলা কেটে তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে ফেলে যায়।’

এভাবেই পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে বিয়ানীবাজারের লাউতা ইউনিয়নের নন্দীরফল গ্রামের নির্মাণ শ্রমিক নজরুল ইসলাম হত্যাকন্ডের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ঘাতক আব্দুল মুবিন লিমন (১৮)।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় থানা কমপ্লেক্সে এক সংবাদ সম্মেলনে বিয়ানীবাজারের কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে বিয়ানীবাজার-জকিগঞ্জ সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় এসব তথ্য জানিয়েছেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিয়ানীবাজার থানার ওসি অবনী শংকর কর ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুল হক।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের এ দুই কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, এ হত্যাকাণ্ডের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। নজরুল ইসলামকে নৃশংসভাবে হত্যায় প্রেমঘটিত বিষয়ের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ।

বিয়ানীবাজার-জকিগঞ্জ সার্কেল সুদীপ্ত রায় সাংবাদিকদের জানান, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় রোববার (২৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টায় উপজেলার লাউতা ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সামনে থেকে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে প্রথমে একই ইউনিয়নের টিকরপাড়া গ্রামের মুহিব উদ্দিনের ছেলে আব্দুল মুবিন লিমনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। পরে তাকে ব্যাপক ও নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে এবং স্বীকারোক্তিতে দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার বসতঘর থেকে একটি দেশীয় অস্ত্র ছুরি, কাঠের লাঠি ও তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরো জানান, জিজ্ঞাসাবাদে ঘাতক আব্দুল মুবিন লিমন ভিকটিমের মেয়ের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রেমের সম্পর্ক থাকার কথা জানায়। প্রেমের ঘটনা ভিকটিম ও তার স্ত্রী জানার পর পর লিমনের সাথে যোগাযোগ করা বন্ধ করে দেয়। যোগাযোগ বন্ধ হওয়ার পর লিমনের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং ভিকটিম নজরুল ইসলামকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়। পরে শনিবার সন্ধ্যায় লিমন মোবাইল ফোনে কাজের কথা বলে বাইরে ডেকে নেয় ভিকটিম নজরুল ইসলামকে। পরে গ্রামের রাস্তার একটি নির্জন স্থানে নিয়ে প্রথমে কাঠের একটি লাঠি দিয়ে নজরুল ইসলামের মাথায় আঘাত করে লিমন এবং পরে একটি ধারালো ছুরি দিয়ে নজরুল ইসলামের গলা কেটে তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে ফেলে যায়।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ জানায়, এ হত্যাকাণ্ডের সাথে আর কেউ জড়িত রয়েছে কি না তা তদন্ত করে দেখবে পুলিশ। তবে এখন পর্যন্ত আব্দুল মুবিন লিমন একাই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছে।

উল্লেখ্য, গত শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার লাউতা ইউনিয়নের নন্দীরফল গ্রামের একটি নির্জন স্থান থেকে নির্মাণ শ্রমিক নজরুল ইসলামের (৪৫) গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে এ ঘটনায় নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী হাছনা বেগম বাদী হয়ে ২৯ ডিসেম্বর বিয়ানীবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
– বিয়ানীবাজার নিউজ ২৪

You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.