Beanibazarview24.com
ভারতের বনগাঁর একটি হোটেল থেকে আসমা বেগম (৪০) নামে এক বাংলাদেশি নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে খুন করা হয়েছে বলে ধারণা পুলিশের। ঘটনার পর থেকে আসমার স্বামী নিখোঁজ রয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে ভারতের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ শহরের একটি হোটেলে এ ঘটনা ঘটে।
বনগাঁ থানা পুলিশ ও হোটেল সূত্রে জানা গেছে, যশোর কোতয়ালী থানার হাসপাতাল এলাকার আবুল কাশেম, তার স্ত্রী আসমা বেগম ও আসমার খালা মনোয়ারা বেগম বুধবার বাংলাদেশ থেকে বৈধ পাসপোর্ট-ভিসা নিয়ে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যান। তারা ভারতের বনগাঁ শহরের বাটার মোড়ের শ্যামাপ্রসাদ লজ নামে একটি হোটেলের তিন তলায় দুটি ঘর ভাড়া নিয়েছিলেন। একটি ঘরে আসমা এবং তার খালা মনোয়ারা ছিলেন। অন্য ঘরে কাশেম একা ছিলেন।
হোটেলের এক কর্মী বলেন, তারা আগেও কয়েকবার এখানে এসেছেন। কয়েক দিন থেকে চলে গেছেন।
হোটেলের কর্মচারীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকালে তারা স্বামী-স্ত্রীকে এক সঙ্গে হোটেলের ঘর থেকে নিচে নামতে দেখেছেন। পরে তারা ঘরে ওঠেন। এরপর কাশেম সকাল ৮টার দিকে হোটেল থেকে চাবি নিয়ে বেরিয়ে যান।
দুপুর পর্যন্ত কাশেম না ফেরায় কর্মচারীদের সন্দেহ হয়। এক কর্মচারী হোটেলের ঘরে গিয়ে দেখেন, কাশেমের ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ। কাঁচের জানালা দিয়ে তিনি দেখেন আসমা ঘরের মেঝেতে পড়ে আছেন। খবর দেয়া হয় পুলিশকে।
পুলিশ গিয়ে ঘরের তালা ভেঙে আসমাকে মৃত অবস্থায় পান। তার গলায় ওড়নার ফাঁস দেয়াছিল। পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। আসমার স্বামী আবদুল কাশেম বৃহস্পতিবার সকালে পেট্রাপোল দিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে গেছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। সেখানে থাকা মনোয়ারাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। বিষয়টি খুন না আত্মহত্যা, জানার চেষ্টা করছেন বনগাঁ থানার তদন্তকারীরা।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে- স্ত্রীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলে কাশেম সন্দেহ করত। যা নিয়ে নিজেদের মধ্যে অশান্তি ছিল। কেন তারা ভারতে এসেছিলেন, কোথায় কোথায় গিয়েছিলেন, কার কার সঙ্গে দেখা করেছিলেন, তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানায় পুলিশ।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.