Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

সিঙ্গাপুরে ডাস্টবিনে নবজাতকের কা’ন্না, বাঁ’চালেন বাংলাদেশি


প্রবাসে থাকা বাংলাদেশিরা শুধু বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনই করেন না, সততার মাধ্যমে বাড়ান দেশের সুনামও। সম্প্রতি সিঙ্গাপুরে থাকা দুই বাংলাদেশি শ্রমিক একটি সুনামের কাজ করেছেন। কা’ন্না শুনে দেশটির ডাস্টবিন থেকে একটি নবজাতককে উদ্ধার করে প্রশংসা পেয়েছেন বাংলাদেশি শামীম পাটওয়ারী ও মোস্তফা কামাল।

গত মঙ্গলবার সিঙ্গাপুরের বেডক নর্থ স্ট্রিটের ব্লক-৫৩৪ এ এমন ঘটনা ঘটে। শামীম পাটওয়ারী ও মোস্তফ বিন থেকে ময়লা পরিচ্ছন্নতার গাড়িতে তুলছিলেন। হঠাৎ একটি ডাস্টবিনের পাশে যাওয়ার সময় প্রথমে শামীম মৃদু কা’ন্নার শব্দ পান। হয়তো ভুল শুনেছেন ভেবে সহকর্মী মোস্তফাকে কা’ন্নার শব্দের কথা জিজ্ঞাসা করেন।

শুক্রবার মোস্তফা স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান, একটি সচল খেলনার পুতুলের কা’ন্নার শব্দ মনে করেন তিনি। পরে ডাস্টবিনটিতে গাড়ি থামিয়ে পর্যবেক্ষণ করতে থাকেন। পরে তিনি ডাস্টবিন খুলে দেখেন পুরনো পত্রিকায় সেং সিয়ং সুপারমার্কেটের একটি ব্যাগ। ব্যাগটি ভেজা ও র’ক্তা’ক্ত মনে হচ্ছিল তার। সেই ব্যাগে কিছু নড়তে দেখে ভয়ে পিছিয়ে পড়েন তিনি। পরে শামীম সাহস করে ব্যাগটি ধরে ছোট একটি শরীরের অস্তিত্ব বুঝতে পারেন।

তারা জানান, সাধারণত এ ধরনের ঘটনায় খেলনা ভেবে ময়লা ফেলে দেয়া হয়। কারণ এ ধরনের কা’ন্নারত খেলনা পুতুল তারা আগেও পেয়েছেন। কিন্তু শামীমের কাছে অন্যরকম মনে হওয়ায় সুপারভাইজারকে ফোন দেয়া হয়। সুপারভাইজার ঘটনাস্থলে এসে ব্যাগটি খুলেন। এরপর ব্যাগের মধ্যে র’ক্তের মাখামাখি করা একটি নবজাতককে দেখেন। ওই সময় নবজাতকের নাভির শিরাও কাটা ছিল না। পরে সুপারভাইজার পুলিশ ফোন দেন। আর শামীম নবজাতকের শরীর মুছে দিয়ে একটি তোয়ালে দিয়ে জড়িয়ে রাখেন।

শামীম বলেন, এখনো মাথায় বিষয়টি গেঁথে রয়েছে। শিশুটিকে হাসপাতালে নেয়ার পরও চিন্তায় ছিলাম। একজন পুলিশ তার সুস্থতা নিশ্চিত করেছেন। এ খবর পেয়ে ভালো লেগেছে।

তিনি আরো বলেন, মঙ্গলবার রাতে ঘুমাইনি। বারবার মনে ভেবেছি, নবজাতককে যদি না দেখতাম, তবে কি হতো! যদি পরিত্যক্ত অন্য ময়লার সঙ্গে ফেলে দিতাম! শিশুটি হয়তো মা’রা যেতো! আমি একটি শিশুকে বাঁচাতে পেরে সত্যি আনন্দিত। শিশুটি বড় হলে তাকে দেখার ইচ্ছে রয়েছে আমার।

মোস্তফা বলেন, নবজাতক বেঁচে যাওয়ার ঘটনা সত্যি আশ্চর্যজনক। এ আবেগ ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। সাধারণত বিনে পরিত্যক্ত জিনিসই থাকে। আমরা সব সময় নিরীক্ষা করি না। একজন বাবা হিসেবে একটি সন্তানের জীবন বাঁচিয়েছি। জীবনের সেরা কাজটি করতে পেরেছি বলে আমি মনে করি।

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার একটি ফোন পেয়ে সকাল ৯ টায় ঘটনাস্থলে যেয়ে শিশুটিকে উ’দ্ধার করেন তারা। শিশুটির হৃ’দক্রিয়া ও অন্যান্য বিষয়গুলো চেক করা হয়েছে। পরে নবজাতককে কেকে ওম্যান অ্যান্ড চিলড্রেন হাসপাতালে ভর্তি করার পর বাবা-মাকে খোঁ’জা হচ্ছে।

You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.