Beanibazarview24.com
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মিন্টু রঞ্জন ধর। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ অসুস্থ হয়ে রয়েছেন। তাঁকে বাঁচাতে হলে প্রয়োজন ‘লিভার’ এর। তবে ‘লিভার’ পাওয়া মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও আইনী জটিলতায় লিভার দাতা মেলানো কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তখন মানবদূত হয়ে স্বামীকে বাঁচতে নিজের ‘লিভার’ দান করার সিদ্ধান্ত নেন স্ত্রী হেপী রানী ধর।
ইতিমধ্যে ভারতের দিল্লিতে তাঁদের ‘লিভার’ ট্রান্সপ্লান্ট সম্পন্ন হয়েছে। তাঁরা উভয়ও সুস্থ আছেন। এ খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পরলে হেপী রানী ধরের প্রশংসা করেছেন অনেকেই।
জানা গেছে, জগন্নাথপুর বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক মিন্টু রঞ্জন ধর বেশ কিছু দিন ধরে লিভারের জটিল রোগে ভুগছিলেন। চিকিৎসকদের পরামর্শে তাঁর লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে পরিবারের পক্ষ থেকে লিভার দাতা খোঁজা হয়। অনেক খোঁজাখুঁজি ও আইনি নানা জটিলতায় যখন তার জীবন বিপন্ন হতে চলছে ঠিক সেই সময় স্ত্রী হেপী রানী ধর নিজের জীবনকে বিপন্ন করে স্বামীকে লিভার দান করলেন।
মিন্টু রঞ্জন ধর এর ভাই জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মধু সুধন ধর জানান, ডা. আবিদ্বীপ চৌধুরী এর নেতৃত্বে দিল্লির বিএলকে হাসপাতালে লিভার ট্রান্সপ্লান্ট অপারেশন সফল ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। দাদা ও বৌদি সুস্থ আছেন। তাঁদের জন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন গরীবের ডাক্তারখ্যাত মধু।
তিনি বলেন, স্বামীর জীবন রক্ষায় বৌদির এরকম মহানুভবতা এবং উনার মা, ভাই সহ সকলের প্রতি রইল অকৃত্রিম ভালবাসা ও কৃতজ্ঞতা।
এদিকে জগন্নাথপুর উপজেলা সদরে বাসুদেব শ্রী মন্দিরে মিন্টু রঞ্জন ধর এর রোগ মুক্তি কামনায় এক বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।
অপরদিকে, খবরটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পরলে হেপী রানী ধরের প্রশংসা করেছেন অনেকেই। মধু সুধন ধরের একটি ছবি যুক্ত এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে ‘আমিনুল আল মামুন নামের একজন লিখেন, “বৌদি এক জলন্ত ভালবাসার নাম, স্বামী ভক্তির জলন্ত উদাহরণ। দোয়া রইল দু’জনার জন্য।”
রফিক নামের আরেকজন লিখেন, “এরকম বউ পৃথিবীতে কয়জনের ভাগ্যে জুটে। আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে বৌদি কে জানাই অসংখ্য অগণিত প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।”
“মানবিক দৃষ্টান্ত। সুস্থতা কামনা করছি, লিখেন অজয় দাশ নামের একজন।”
যুবলীগ নেতা যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এনামুল হক লিখেন, “বউদি পৃথিবীতে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। আল্লাহ পাকের কাছে ওনাদের সুস্থতা দীর্ঘায়ু কামনা করি।”
শাহজাহান ফকির নামের একজন লিখেন, “অফুরন্ত ভালবাসার নিদর্শন বৌদির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা, আল্লাহ এই দানকে কবুল করুন এবং দাদাকে সুস্থতা দান করুন৷ আমিন।”
দিবিয়া দে নামের একজন লিখেন, “স্বামীর প্রতি স্ত্রীর সীমাহীন ভালবাসা । বৌদির এ মহানুভবতার জন্য আমার সশ্রদ্ধ প্রনাম নিবেদন করছি। দাদা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন– এ প্রার্থনা।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.