Beanibazarview24.com
‘সিলেট-আমেরিকা, কানাডা সরাসরি ফ্লাইট’ সিলেটীদের অন্তরে লালন করা এতদিনের এ স্বপ্ন দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন। প্রবাসীদের দাবির পাশাপাশি এবার স্থানীয়ভাবেও কথাটি জোরালো হচ্ছে।
সিলেটের অনেক মানুষ থাকেন প্রবাসে। তন্মধ্যে ইংল্যান্ড ইউরোপ ছাড়াও নম্বর সংখ্যক লোক থাকেন আমেরিকা, কানাডাতে। তারা প্রায়ই আত্মীয়স্বজন দেখতে বা নাড়ীর টানে দেশের বাড়ি গ্রামে বেড়াতে আসেন। কিন্তু আমেরিকা বা কানাডা থেকে সরাসরি কোনো ফ্লাইট সিলেটে না পৌছায় বিড়ম্বনায় পড়তে হয় যাত্রীদের।
বিভিন্ন দেশের উড়োজাহাজে চড়ে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কেউ কেউ অবতরন করেন রাতে বা রাত গভীরে। অসমে আসা যাত্রীরা নেমেও সিলেটের সাথে পাননা কোনো কানেকশান ফ্লাইট। মালপত্র, লাগেজ নিয়ে যাত্রীরা বিমানবন্দরে বিড়ম্বনার শিকার হন। কেউ কোনো সুবিধা করতে না পেরে বিমানবন্দরেই রাত কাটান।
একে তো ২৪-২৫ ঘন্টার ভ্রমণ তার সাথে বিমানবন্দরে নির্ঘুম বসে থাক অসহনীয় কষ্টের। কেউ সাথে শিশুদের নিয়ে ভ্রমণ করলে তো তাকে দোজকের কষ্ট সইতে হয়। আর কেউ আবার সিলেটের সাথে কানেকশান ফ্লাইট না পেয়ে বা রাত গভীরে দূরপাল্লার বাস না পেয়ে ভাড়াকরা ছোট গাড়িতে সিলেট পাড়ি জমাতে চান।
এতে রাস্তায় দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয় অনেককে। একইভাবে আমেরিকায় ফিরত যেতেও তাদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।
গত ১৫ জানুয়ারি আমেরিকা থেকে থেকে ২৪ বছর পর দেশে এসে বাড়িতে আসার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান বিয়ানীবাজারের সন্তান রুহুল আমীন। তিনি আমেরিকা থেকে ঢাকায় এসে যখন অবতন করেন তখন সিলেটের সাথে কানেকশান ফ্লাইট খুঁজেন। সময়ের কারণে কোনো ফ্লাইট না পেয়ে ছোট গাড়িতে করে সড়কপথে রওয়ানা দেন।
পথিমধ্যে হবিগঞ্জে ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে নিহত হন রুহুল। তার এই মৃত্যুর পর থেকে ‘সিলেট-আমেরিকা, কানাডা সরাসরি ফ্লাইট’ চালুর দাবি প্রবাসীদের মুখেমুখে। এ দাবি এখন সিলেটের প্রাণের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.