Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় সিলেটের ৩ জনসহ পাঁচ বাংলাদেশী নিহ’ত

ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় মৌলভীবাজারের ৩ জনসহ পাঁচ বাংলাদেশী নিহ’ত হয়েছেন। নিহ’ত তিনজনের বাড়ি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ও হাজীপুর ইউনিয়ন এবং কমলগঞ্জ উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নে। আজ সোমবার ওমান বিকাল সাড়ে ৪টায় ওমানের আদম এলাকায় এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। প্রবাসীদের মাধ্যমে মৃ’ত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে নিহ’ত তিনজনের গ্রামের বাড়িতে শুরু হয় শোকের মাতম।

ওমানের আদম এলাকায় কর্মরত বাংলাদেশী শ্রমিক ও নিহ’তদের গ্রামের বাড়ির সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কাজ শেষে স্ব স্ব বাসায় বাইসাইকেলযোগে বাসায় ফেরার সময় দ্রুতগতির প্রাইভেটকারের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই চার বাংলাদেশীর মৃ’ত্যু হয়। আশঙ্কাজনক একজনকে হাসপাতালে নেয়ার পর মা’রা যান।

মর্মান্তিক এ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহ’ত পাঁচ বাংলাদেশীর মধ্যে মৌলভীবাজারের তিনজন হলেন- কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের বিলেরপার গ্রামের লিয়াকত আলী (৩৫), শরীফপুর ইউনিয়নের সঞ্জরপুর গ্রামের সবুর আলী (৩৩) ও কমলগঞ্জ উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের চিতলীয়া বাজারের টিলালাইন এলাকার আলম আহমদ (৩৫)। বাংলাদেশী অপর দু’জনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

ওমানের কর্মরত লিয়াকত আলীর শ্যালক জসিম উদ্দীন মোবাইল ফোনে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলেই তিনজনকে চিনতে পারলেও অপর দু’জনের চেহারা বিকৃতি হওয়ায় তাদের চেনা যায়নি।

কমলগঞ্জ উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের নিহ’ত আলমের ছোট ভাই ওয়াসিম কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, ‘আমার বড় ভাই পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনার আশায় বাড়িতে স্ত্রী ও ২ সন্তানকে রেখে ধার-দেনা করে ৬ মাস পূর্বে ওমানে পাড়ি দেন। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস পরিবারের স্বচ্ছলতার জায়গায় আজ আহাজারির মাতম।’

নিহ’তের স্ত্রী নাসিমা বেগম কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, ‘প্রবাস আমার সংসার জীবনকে তছনছ করে দিয়েছে। ধারদেনা করে আমার স্বামী বিদেশে গিয়েছিলেন পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে। এখন এই ধারদেনা কিভাবে পরিশোধ করবো।’

এ দিকে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় আলম আহমদ পরিবারেও চলছে কান্নার রোল।

স্থানীয় ইউপি সদস্য শামীম আহমদ জানান, আব্দুল বাছিতের ছেলে আলম আহমদ ৫ মাস আগে ওমানে যান। তার স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তার মৃ’ত্যুর সংবাদে গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের লিয়াকত আলীর চাচা মাসুদুর রহমান জানান, ‘বিলেরপার গ্রামের মুসলিম আলীর ছেলে লিয়াকত প্রায় ৪ বছর আগে ওমানে যান। তার স্ত্রী ও ৯ বছর বয়সের এক সন্তান রয়েছে। সেখানে কনস্ট্রাকশনের কাজ করে পরিবার চালাতো লিয়াকত। পাসপোর্ট নবায়ন করে দুই মাস পরে দেশে আসার কথা ছিল। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে লিয়াকত সবার ছোট। তার মৃ’ত্যুতে পরিবারে গভীর শোক বিরাজ করছে।’

কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের সঞ্জরপুর গ্রামের নিহ’ত সবুর আলীর মামাতো ভাই কামাল খান বলেন, ‘গ্রামের আব্দুস শহীদ এর ছেলে সবুর আলী ১০ বছর ধরে ওমান ছিল। দুই বছর আগে দেশে আসে একবার। কিছুদিন থাকার পর আবার ওমান পাড়ি জমায়। তার মা আছেন, বাবা নেই। চার ভাই ও চার বোনের মধ্যে সে তৃতীয়। নিহ’ত সবুরের ২ মেয়ে ১ ছেলে রয়েছে। তার গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।’

হাজীপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত বাচ্ছু বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের লিয়াকত আলীসহ নিহ’ত তিনজনের লা’শ যাতে তাড়াতাড়ি দেশে ফিরে আসে, সে জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.