Beanibazarview24.com
প্রেমিক ইয়ানের সঙ্গে বেশ টা’নাপো’ড়েন মেধাবী সাদিয়ার আফরিনের। প্রেমের সম্পর্ককে চাঙা করে ভালোবাসা দিবসে রঙিন সাজে সাজতে প্রেমিকের সঙ্গে দেখাও করেন। এ নিয়ে বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ায় বাবার বকুনিতে অভিমান করেন। সেই অভিমানের জেরে ছাদ থেকে পড়ে আ’ত্মহ’ত্যা করেছেন কলেজের সব পরীক্ষা ও প্রতিযোগিতায় ‘সেরা’ সাদিয়া।
বুধবার রাতে ভোলা সদরের স্টেডিয়াম সড়কের শিল্পকলা একাডেমির পাশে ভাড়া বাসার ভবন থেকে লাফ দেন সাদিয়া। এতে বন্ধু মহলে বসন্ত আর ভালোবাসা পরিবর্তে বিরাজ করছে বন্ধু হা’রানোর শো’ক। সাদিয়া সমাজসেবা দফতরের ইউনিয়ন মাঠ কর্মকর্তা নাসির উদ্দিনের মেয়ে। বাবার বাড়ি বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলায়।
স্থানীয়রা জানান, বিএম কলেজের অনার্স পড়ুয়া ইয়ানের সঙ্গে সাদিয়ার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সম্প্রতি সম্পর্কে টা’নাপো’ড়েন থাকায় বুধবার ইয়ানের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বাড়ি ফিরতে বিলম্ব করেন সাদিয়া। এ নিয়ে বাবা বকবকি করলে অভিমান করেন তিনি। এরপর পাশের বাড়িতে কিছু সময় ব্যয় করে সন্ধ্যায় নিজেদের ভাড়া বাসার তৃতীয়তলা থেকে লাফ দেন তিনি।
রাতেই আহ’ত অবস্থায় ভোলা থেকে তাকে বরিশাল নেয়া হয়। তবে তার অবস্থা বেগতিক দেখে বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে নিতে রওনা দেন স্বজনরা। তবে পথিমধ্যে সাদিয়ার মৃ’ত্যু হয়।
বিএম কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম জাকারিয়া বলেন, সাদিয়ার মৃ’ত্যুতে আমরা শো’ক প্রকাশ করছি। এমন মেধাবী ছাত্রী এভাবে চলে যাওয়া মেনে নেয়া যাচ্ছে না।
শিক্ষক সারমিন জাহান শ্যামলী বলেন, সাদিয়া এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে কলেজে ভর্তি হয়। কলেজের সব অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় সেরা হওয়ার পাশাপাশিতে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ছিল তুখোড়।
ভোলা থানার ওসি এনায়েত হোসেন বলেন, সাদিয়ার মৃ’ত্যুর ব্যাপারে কেউ থানায় অভিযোগ দেননি। অ’ভিযোগ করলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.