Beanibazarview24.com
ছবি কথা বলে। বাক্যটি হর’হামে’শায় ব্যবহার করা হয়। কভারের ছবিটিও কথা বলছে। চরম স’ঙ্কটেও দ্বী’নের ওপর অবিচল থাকার কথা। ছবিটি ইয়েমেনের রাজধানী সানা থেকে তোলা।
বৈশ্বিক ভ’য়াবহ বিপ’র্যয়ের মুখে যে কয়েকটা দেশ ইয়েমন তার অন্যতম। ইরান সমর্থিত হু’থি বিদ্রো’হী এবং সৌদি সে’নাদের প্রভাব বিস্তারের যু’দ্ধে বিপর্য’স্ত ইয়েমেনের সাধারণ নাগরিকদের জীবন।
ইয়েমেনের রাজধানী সানাকে অনেক আগেই ক্ষু’ধার নগরী ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ইয়েমেনের শিশুরাই সবচেয়ে বেশি অপু’ষ্টিতে ভুগছে। গত কয়েক বছরে অপু’ষ্টিতে ইয়েমেনে মা’রা গেছে ৮৫ হাজারেরও বেশি শিশু।
হা’মলার ফাকে ফাকে ইয়েমেনে যে পরিমাণ ত্রাণ পৌঁছে তা দেশটির অধিবাসীদের জন্য পর্যাপ্ত নয়। তাই অনেক ইয়েমেনি পাড়ি দিয়েছেন ইউরোপের দেশে। সেখানে বাস্তুহারা জীবন তাদের।
যু’দ্ধ ইয়ে’মেনের ধর্মীয় জীবনেও মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। ক্ষু’ধা, দা’রিদ্র সম্ভ্রা’ন্ত ইয়েমনবাসীদেরও দ্বীনের ব্যাপারে করে তুলেছে উদাসীন। যেনবা ‘দারি’দ্র কখনো কু’ফুরি ডেকে আনে’ হাদিসের বাস্তব প্রতিচ্ছবি ইয়েমেন।
এরও মাঝে কিছু পরিবার আছে-শত কষ্টেও তারা দ্বীন বিচ্যুত হয়নি। ঐতিহ্যগতভাবে তাদের মধ্যে যে ধর্মচর্চা যু’দ্ধের মতো চরম সঙ্কটও তা টলাতে পারেনি। কভারের ছবিটি তেমনি কোনো পরিবারের হবে।
এএফপির তোলা ছবিটি নিয়ে প্রতিবেদন করেছে সৌদি আরব ভিত্তিক আরবি সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়া। আমেরিকা থেকে আসা ত্রাণের ভাগ নিতে লোকালয়ে এসেছেন ছবির পর্দানশীন নারীরা। দীর্ঘদিনের চরম বিপর্যয়েও যে তাদের দ্বীনের চর্চায় এতটুকু চিড় ধরাতে পারেনি এটা নিয়ে বেশ প্রশংসা করা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে।
নিজেদের ডেরা ছেড়ে ত্রা’ণ নিতে লোকালয়ে আসতে তাদের যথেষ্ট বেগ পোহাতে হয়েছে। কিন্তু করারই বা কী আছে!
চরম দু’শাগ্র’স্ত তাদের জীবন। কারো স্বামী মারা গেছে আমেরিকান ড্রো’ন হা’মলায়। কারো ভাই মা’রা গেছে হু’থি বিদ্রো’হীদের আক্র’মণে। কারো সন্তান হয়েছে সৌদি সে’নাদের ছু’ড়া মি’সাইলের বলি।
আদতে তারা তো বেশ শা’ন্তিতেই ছিলেন। যু’দ্ধ তাদের জীবনকে গতি’হীন এবং স্থ’বির করে দিয়েছে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.