Beanibazarview24.com
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় একটি কমিউনিটি সেন্টারে ধুমধাম করে বিয়ে হচ্ছিলো বর মো. রুবেল ও কনে শাবনুর আক্তারের। এর মধ্যেই বাধে বিপত্তি। বর পক্ষকে খাবার দিতে দেরি হওয়ায় শুরু হয় কথা কা’টাকা’টি। এক পর্যায়ে তা গড়ায় মা’রামা’রিতে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করলেও ভেঙ্গে যায় বিয়ে।
গতকাল শনিবার বিকেলে এ ঘটনাটি ঘটে উপজেলার সরকার হাট এলাকার আল আমিন কমিউনিটি সেন্টারে। বর রুবেল আনোয়ারা উপজেলার মহতর পাড়া গ্রামের শরীফ মেম্বারের ছেলে এবং কনে শাবনুর বাঁশখালী উপজেলার বেলগাঁও গ্রামের আব্দুল মোতালবের মেয়ে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আনোয়ারা থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামসুজ্জামান বলেন, ওইদিন বিয়ের অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে বর এবং তার মাকে খাবার দিতে দেরি হওয়ায় বরের ভাই সোহেল ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এক পর্যায়ে সে মা’রামা’রি শুরু করলে কমিউনিটি সেন্টার কর্তৃপক্ষ তা থামানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে ফোন পেয়ে বিকেল ৪টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
তিনি আরো জানান, দুই পক্ষকেই শান্ত করলেও বর পক্ষের আচরণে মনক্ষুন্ন হয়ে মেয়ে দিতে রাজি হয়নি কনে পক্ষ। তাই বর পক্ষও বিয়ে না পড়িয়ে সেখান থেকে চলে যায়। তবে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য দুই পক্ষকেই আগাম ১৮ ফেব্রুয়ারি থানায় আসতে বলেন তিনি।
এ বিষয়ে কনের মামা গুরা মিয়া বলেন, খাবারের জন্য মানুষ এমন আচরণ করতে পারে তা তিনি চিন্তাও করতে পারেননি। বর আসার পর খাবার দিতে দেরি হওয়ায় তার ভাই ল’ঙ্কাকা’ণ্ড করেছে। কনে পক্ষের কয়েকজনকে মে’রে আহ’তও করেছে। কিন্তু তারা কোন প্রতিবাদ না করে শান্ত থেকেছেন।
তিনি আরো জানান, পুলিশ দুই পক্ষকে সমঝোতায় আনতে চেষ্টা করেছে। কিন্তু বর পক্ষের আচরণে তাদের হাতে মেয়ে তুলে দেয়নি কনের পরিবার। বিয়ের আগে বরের বাড়িতে ৫০ হাজার টাকার ফার্নিচার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বিয়েতেও ৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে।
তবে মা’রামা’রির অভিযোগ অস্বীকার করে সোহেল বলেন, বর আসার দুই ঘণ্টা পরও তারা খাবার দেয়নি। এ নিয়ে একটু কথা কা’টাকা’টি হয়েছে। কিন্তু এ জন্য তারা অহংকার দেখিয়ে মেয়ে দেয়নি। তাই আমরাও আনিনি।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.