Beanibazarview24.com
ব্রিটেনের ক্যামডেন শহরে মুসলিম মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নারী, নাদিয়া শাহ। দেশটির কোনো শহরে তিনিই প্রথম নারী মুসলিম মেয়র। বুধবার এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ক্যামডেন কাউন্সিলে লেবার কাউন্সিলর নাদিয়াকে মেয়র হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।
ব্রিটিশ মিডিয়ায় বলা হয়েছে, ‘ব্রিটিশ বাংলাদেশিদের অ’হঙ্কারের তালিকায় আরেক নাদিয়ার নাম যুক্ত হয়েছে এবার। ইউকের মধ্যে প্রথম বাংলাদেশি মহিলা মেয়র হিসেবে ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়েছেন নাদিয়া শাহ।
ক্যা’মডেন কাউন্সিলের রিজেন্ট পার্ক ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত কাউন্সিলর নাদিয়া শাহ বুধবার রাতে ২০১৬ এবং ১৭ সালের জন্যে ক্যামডেন কাউন্সিলের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ক্যা’মডেনে এর আগে ইউকের মধ্যে সবচেয়ে কমবয়সী বাংলাদেশী মেয়র ছিলেন নাসিম আলী। এবার কাউন্সিলর নাদিয়া শাহ হলেন ক্যামডেন কাউন্সিলে প্রথম বাংলাদেশি মহিলা মেয়র। একই সঙ্গে পুরো ইউকের মধ্যে প্রথম বাংলাদেশি মহিলা মেয়র হিসেবেও তার নাম লেখা থাকবে।’
মেয়র হিসেবে শপথ নেওয়ার পর এক সাক্ষাতকারে নাদিয়া জানান, তার এই অর্জন ব্রিটেনে এবং বাংলাদেশে নারীর ক্ষ’মতায়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। ব্যক্তি জীবনে তিন সন্তানের জননী তিনি। তার স্বামী জলিল শাহ ক্যামডেন কাউন্সিলের ইনফরমেশন টেকনোলজি বিভাগের প্রধান হিসেবে কর্মরত।
জন্মসূত্রে ব্রিটেনের নাগরিক হলেও নাদিয়ার আদি বাড়ি বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়ায়। ক্যামডেন শহরেই জন্ম তার। গ্রিনউইচ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হওয়ার পর ব্যাংকে এবং বিভিন্ন সরকারি বিভাগে কাজ করেছেন। তবে রাজনীতি ও সামাজিক কাজের প্রতি ঝোঁক ছিল বরাবর।
২০১৪ সালে সরাসরি রাজনীতিতে যোগ দেন তিনি। এবার তিনি রিজেন্ট পার্ক আসন থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। এই আসন থেকে আগে কাউন্সিলর ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি টিউলিপ সিদ্দিক। পরে হ্যাম্পস্টেড-কিলবার্ন আসন থেকে টিউলিপ সাংসদ নির্বাচিত হন।
এক বাঙালি নারীর ছেড়ে যাওয়া আসনে আরেক বাঙালি নারী জয়ী হয়েছেন। এতে খুশি ক্যা’মডেনের বাঙালিরাও। ব্রিটিশ বাংলাদেশি কমিউনিটির প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে নাদিয়া জানান, ক্যামডেনের বাঙালিদের সহযোগিতা না পেলে তিনি কাউন্সিলর নির্বাচিত হতে পারতেন না। এর আগে লন্ডনের প্রথম মুসলিম মেয়র নির্বাচিত হয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত সাদিক খান।
নাদিয়ার বাবা মোহাম্মদ নাজরুল ইসলাম ষাটের দশকে বিলেত আসেন। ব্যা’ঙ্কার জীবন শেষে তিনি ব্যবসা শুরু করেন। নাদিয়ার মায়ের নাম আম্বিয়া ইসলাম।
উল্লেখ্য ২০১৫ সালের ব্রিটিশ বেইক অব চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন নাদিয়া আলী। বিটিশ বাংলাদেশীদের অহঙ্কার নাদিয়া আলীর বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজারে। কিছু দিন আগে ব্রিটিশ রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের ৯০তম জন্মবার্ষিকীর কেইকও বানিয়েছেন তিনি। এ দুজন ছাড়াও কমিউনিটিতে আরেক নাদিয়া আছেন। তিনি হলেন কমিউনিটি মিডিয়া জগতের পরিচিত মুখ এবং চ্যানেল এসের ইটস আওয়ার ডে অনুষ্ঠানের সাবেক প্রেজেন্টার নাদিয়া আলী। তিনি বর্তমানে বিবিসি রেডিওতে প্রোগ্রাম প্রেজেন্টিং করছেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.