Beanibazarview24.com
স্ত্রীর পর’কীয়ার জেরে সৌদি প্রবাসী আব্দুর রহমান গাজীর (৪৬) জীবন বিষিয়ে উঠেছিল। প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েই পর’কীয়া প্রেম শুরু করেছিল স্ত্রী মুর্শিদা সুলতানা। পর’কীয়ার দৃশ্য ভিডিও কলের মাধ্যমে সরাসরি দেখাতো স্বামীকে।
বিদেশের মাটিতে স্ত্রীর পর’কীয়াসহ নানা অপ’কর্মের খবরে ম’রণ য’ন্ত্রণায় দিন কা’টাচ্ছিল আব্দুর রহমান। অবশেষে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টায় সৌদি আরবের কনফুদা এলাকায় গলায় ফাঁ’স দিয়ে আ’ত্মহ’ত্যা করেন। আ’ত্মহ’ত্যার খবরটি সাথে সাথে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
পারিবার ও এলাকা সূত্রে জানা যায়, পর’কীয়ার বলি আব্দুর রহমান গাজীর বাড়ি খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার আন্দুলিয়া গ্রামে। পেশায় ছিল একজন রাজমিস্ত্রি। তবে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে সৌদি আরবে শ্রমিকের কাজ করতেন। ১০ বছর আগে দ্বিতীয় বিয়ে করে নতুন সংসার শুরু করেন তিনি। ২ পুত্র সন্তান জন্মের পর আব্দুর রহমান গাজী প্রথম স্ত্রীকে তা’লাক দেন। প্রথম স্ত্রীর মা’মলায় আব্দুর রহমান কা’রাভো’গ করেছেন।
পরবর্তীতে প্রেমের সূত্র ধরে আব্দুর রহমান খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার গাওঘরা গ্রামের হেকমত আলী বিশ্বাসের একাধিক স্বামী পরি’ত্যক্তা মেয়ে মুর্শিদা সুলতানাকে (৩০) বিয়ে করেন। দাম্পত্য জীবনে মিম নামে তাদের একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। মিমের বর্তমান বয়স ৫ বছর। সন্তান জন্মের পর কিছুদিন তাদের দাম্পত্য জীবন সুখেই ছিল।
আব্দুর রহমান গাজী লেখাপড়া না জানলেও দ্বিতীয় স্ত্রী মুর্শিদা সুলতানাকে লেখাপড়া করিয়ে এমএ পাশ করান। বিয়ের পর মুর্শিদা সাতক্ষীরায় ব্র্যাকে (এনজিও) চাকুরি করতেন। আব্দুর রহমান গাজীও বাসা নিয়ে সেখানে অবস্থান করতেন। কিন্তু সেখানে ব্র্যাকের এক কর্মকর্তার নজরে পড়েন মুর্শিদা। নিরুপায় হয়ে চাকুরি ছেড়ে আব্দুর রহমান তাকে বাড়ি ফিরিয়ে আনেন। বাড়ি এসে আবারো পুরোনো পেশা রাজমিস্ত্রি কাজ শুরু করেন তিনি।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.