Beanibazarview24.com
সিরাজ ও তার দলবলের রোষানলে পড়ে কুটচালে নিজের ছেলে নিখোঁজ ও অন্তঃস্বত্তা পুত্রবধু কারাগারে। গ্রামের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্থান না পেয়ে তারা মিথ্যার বেসাতির মাধ্যমে গোটা পরিবারকে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিশ্বনাথের রামপাশা ইউনিয়নের পাটাকইন গ্রামের মৃত আলকাছ আলীর স্ত্রী নুরজাহান বিবি।
সোমবার বিকেলে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার ৩ ছেলের মধ্যে ২ জন প্রবাসে। ছোট ছেলে তবারক আলী একই ইউনিয়নের পাঁচকড়ি গ্রামের মৃত মনোহর আলীর প্রভাবশালী ছেলে সিরাজ মিয়ার কুটচালে নিখোঁজ। তার অন্তঃস্বত্তা স্ত্রী ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় কারাগারে।
তিনি বলেন, তবারক এলাকার মসজিদ মাদ্রাসা ও স্কুলের উন্নয়নকাজের সাথে জড়িত। তাছাড়া শালিস ব্যক্তিত্ব হিসাবেও সে খুব জনপ্রিয়। এ কারণে সিরাজ ও তার দলবলের রোষানলে পড়ে। তারা সম্প্রতি গ্রামের একটি মসজিদে কিছু অনুদান দিয়ে সিরাজের নামে নেমপ্লেইট লাগিয়ে দেয়। তবারক আপত্তি জানালে তাদের রোষানলে পড়ে। তারা নানা অপপ্রচার ও মিথ্যাচার চালাতে শুরু করে।
তিনি বলেন, ২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি আশুগঞ্জ আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের গভর্ণিংবডির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে সিরাজ মিয়ার প্যানেলকে পরাজিত করে জয়লাভ করে তবারকের প্যানেল। এর আগের কমিটিতে সিরাজ মিয়া ও তার প্যানেল ছিল। নতুন কমিটি দায়িত্ব লাভের আগেই মূল্যবান নথিপত্র সরিয়ে ফেলা হয়। এমন কি কম্পিউটারে সংরক্ষিত তথ্যও মুছে ফেলা হয়েছে। বিষয়টি বিশ্বনাথের থানা পুলিশ অবগত। বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে তারা তবারককে ফাঁসাতে ব্যর্থ হয়। এরপর কৌশল পরিবর্তন করে তারা আরো জঘন্য পথ অবলম্বন করে। সম্প্রতি তবরাকের স্ত্রীর নামে কেনা সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে গাঁজাসহ এক ব্যবসায়ীকে আটক করে পুলিশ। ব্যবসায়ী আটক হলেও সিরাজের কুটচালে তবারকের স্ত্রীকে আসামি করে মামলাদায়ের করা হয়।
একইভাবে গত ৫ ফেব্রুয়ারি হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে ডিবি পুলিশের হাতে ইয়াবাসহ আটক হয় আরো দুই মহিলা। তারা দাবি করে তবারক ও তার স্ত্রী তাদের সাথে জড়িত। এক্ষেত্রে মামলা হয়েছে তবারক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এই মামলায় তবারকের ৫ মাসের অন্তঃস্বত্তা স্ত্রী সাবিনা আক্তার (২৪) কারাগারে। পরে ২৪ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লা থেকে সিলেট ফেরার পথে ইয়াবাসহ আরো ২ মহিলাকে আটক হয়। এদের একজন বিশ্বনাথের আলহেরা মার্কেটের ব্যবসায়ী দুলু মিয়ার স্ত্রী সুমি আক্তার লিপি। এদের সাথে সিরাজ ও তার দলবলের গভীর সংখ্যতা।
আটকের দুদিন পর সুমি মিথ্যা স্বীকারোক্তি দেয় যে, ইয়াবার মালিক তবারক ও তার স্ত্রী। তিনি প্রশ্ন রাখেন, আগের মামলায় কারাগারে থাকা সাবিনা কিভাবে ইয়াবা বা গাঁজা সরবরাহ করে? সিরাজগং তবারকের বিরুদ্ধে আরো অনেক দুর্ণীতির অভিযোগ করেছে।
নুরজাহান বিবি বলেন. এসবই মিথ্যা বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ। মসজিদের নেইমপ্লেট লাগানোর প্রতিবাদ, স্কুলের নির্বাচনে পরাজয় ও নথিপত্রসহ মূল্যবান সামগ্রি চুরির অপকর্ম ঢাকতেই ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন সিরাজ ও তার দলবল। এর আগে গত বছর এলাকার প্রায় দুই শতাধিক মানুষের স্বাক্ষর নিয়ে তাদের অনিয়মের বিরুদ্ধে সিলেটের পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দেয়া হয়েছে। তাদের চক্রান্তে আমার ৫ মাসের অন্তঃস্বত্তা পুত্রবধু আজ কারাগারে। আর মিথ্যা অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার কারণে ছেলে তবারক নিখোঁজ। আমার আশঙ্কা, সিরাজ গংরা আমার ছেলেকে মেরে ফেলার চেষ্টা করছে। তিনি একজন মা হিসাবে তার ছেলে ও পুত্রবধুর বিরুদ্ধে এমন জঘন্য ষড়যন্ত্রকারী সিরাজ ও তার দলবলের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
-সিলেটভিউ২৪ডটকম
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.