Beanibazarview24.com
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়ার পর অনেককেই দেখা যাচ্ছে মাস্ক পরে চলাফেরা করতে। এদিকে সুযোগ বুঝে অসাধু ব্যবসায়ীরা মাস্কের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন কয়েক গুণ। বাধ্য হয়ে সেই দামেই মাস্ক কিনছেন অনেকে। কিন্তু মাস্ক কি পরতেই হবে? পরলে কাদের পরতে হবে? জেনে নিন চিকিৎসকরা কী বলছেন-
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাস্তাঘাটে, গন পরিববহনে মাস্ক পরে ঘোরাঘুরি অর্থহীন। সবার মাস্ক পরে ঘোরাঘুরির কোনো দরকার নেই। এমনকি, ‘এন-৯৫’ জাতীয় মাস্ক বেশি ক্ষণ পরে থাকলে হিতে বিপরীতও হতে পারে।
চিকিৎসকদের বক্তব্য, প্রায় সবাইকেই এখন রাস্তাঘাটে, বাসে, ট্রেনে যে সার্জিকাল মাস্ক পরে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যাচ্ছে, তার কাপড় আর নাক, মুখের মধ্যে যে জায়গাটুকু থাকে তার মধ্যে দিয়ে অনায়াসে ঢুকে পড়তে পারে যক্ষা ও করোনার মতো যেকোনো ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ভাইরাস। তাই এই মাস্ক তাদের কোনো রক্ষাকবচ নয়।
‘এন-৯৫’ জাতীয় মাস্ক পরে সব সময় ঘুরে বেড়ানোর চেষ্টা করলে বরং হিতে বিপরীত হতে পারে। কারণ, মিনিট দশ-পনেরোর বেশি এই জাতীয় মাস্ক পরে থাকলে শ্বাসকষ্টজনিত নানা ধরনের রোগ হতে পারে।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সর্দি, কাশিতে যারা খুব ভোগেন, তাদেরই সব সময় এই মাস্ক পরে ঘোরাঘুরি করা উচিত। কারণ, হাঁচি, কাশির সময় নাক ও মুখ থেকে বেরনো ড্রপলেটসেই যক্ষা, করোনা-সহ নানা ধরনের ভাইরাস ও জীবাণু থাকতে পারে। আর যক্ষা ও করোনা মূলত এই ড্রপলেটসের মাধ্যমেই ছড়ায়।
যারা প্রায়ই সর্দি, কাশিতে ভোগেন, তারা সব সময় মাস্ক পরে থাকলে তাদের থেকে সংক্রমণের আশঙ্কা কমে যাবে। চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, করোনা আক্রান্ত ও সন্দেহভাজন ও তাদের যারা দেখভাল করেন, তাদেরই সব সময় মাস্ক পরে থাকা উচিত। সেটা সাধারণ সার্জিকাল মাস্ক হলেও চলবে।
সাধারণ সার্জিকাল মাস্ক পরে শুধু করোনা কেন, কোনো ভাইরাস বা জীবাণুর আক্রমণই ঠেকানো সম্ভব নয়। কারণ, ওই মাস্ক পরলেও ভাইরাস বা জীবাণুরা আমাদের শরীরে ঢুকে পড়ার পর্যাপ্ত জায়গা পেয়ে যায়। মাস্ক নাক, মুখের মতো পুরোপুরি চেপে বসে না। তার মধ্যে দিয়ে তো আমরা শ্বাস নিই। ফলে, বাতাস আসা-যাওয়ার রাস্তা আছে। মাস্কের কাপড় আর নাক, মুখের মধ্যে সেই জায়গাটা দিয়েই ভাইরাস বা জীবাণুরা অনায়াসে ঢুকে পড়তে পারে।
সাধারণ মানুষ যদি বাসে, ট্রেনে, রাস্তাঘাটে ‘এন-৯৫’ জাতীয় মাস্ক পরে ঘোরাঘুরি করেন, তাতে বরং হিতে বিপরীত হতে পারে। কারণ, টেনে ব্যান্ড বেঁধে এবং নাকের ব্রিজ চেপে যদি সঠিক পদ্ধতিতে ‘এন-৯৫’ জাতীয় মাস্ক পরা হয়, তা হলে এই মাস্ক পরে বেশি ক্ষণ থাকা অসম্ভব। তাতে দম আটকে আসে। ফলে, এই মাস্ক সবার সব সময় পরে থাকা সম্ভব নয়। তা ছাড়া, এই মাস্ক পরলেও সংক্রমণ পুরোপুরি রোখা অসম্ভব।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.