Beanibazarview24.com
চীনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন বাংলাদেশি তরুণ মিজানুর রহমান সরকার। তিনি বৃত্তির টাকা বাঁচিয়ে করোনাভাইরাস টেস্টের ১০০টি কিট কিনে বাংলাদেশে পাঠাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার কিটগুলো দেশে পৌঁছানোর কথা।
মিজানুর রহমান সরকার জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার রতনপুর সরকারপাড়া গ্রামের আবু জাফর সরকারের ছেলে। ২০ মার্চ মিজানুর রহমান তাঁর ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘জয়পুরহাটে যাঁরা দায়িত্বশীল আছেন, তাঁদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমি মিডিয়া মারফত জানতে পারলাম, জয়পুরহাটে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস পরীক্ষার কোনো কিট নেই। তাই আমি চায়না থেকে করোনাভাইরাস টেস্ট করার জন্য কিছু কিট ডোনেট করতে চাই। এ বিষয়ে করণীয় প্রক্রিয়া জানার জন্য জয়পুরহাটে যাঁরা স্বাস্থ্য বিভাগে জড়িত আছেন, তাঁদের সাহায্য কামনা করছি।’
ফেসবুকের ওই পোস্ট দেখে মিজানুরের মুঠোফোন নম্বর দিতে বলেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও জয়পুরহাট-২ (আক্কেলপুর-কালাই ও ক্ষেতলাল) আসনের সাংসদ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। পরে নম্বর নিয়ে ওই তরুণের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলেন হুইপ।
এ বিষয়ে ওই তরুণকে অভিবাদন জানিয়ে বুধবার বিকেলে ফেসবুকে পোস্ট দেন হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ। পোস্টে তিনি লেখেন, ‘একটি ছেলে চায়না থেকে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছে যে সে জয়পুরহাটে কিছু করোনা টেস্টিং কিট পাঠাতে চায়। জয়পুরহাটের দায়িত্বশীল কেউ যেন যোগাযোগ করে। বিষয়টি আমার চোখে পড়ায় তাঁকে তাঁর ফোন নম্বর দিতে বলি।
সে নম্বর দিলে আমি ফোন করি। সে চায়নার নানথোং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সেখানে প্রায় গৃহবন্দী। বাইরে বেরোতে পারে না। কিন্তু দেশের জন্য, এলাকার জন্য তাঁর হৃদয়ের আকুতি অনুভব করে আমি অভিভূত।’
কিটগুলো চীন থেকে ইউএস বাংলা এয়ারলাইনসে বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে। ইউএস বাংলার একটি সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার ভোরে কিটগুলো দেশে পৌঁছাবে। এরপর হুইপের কাছে তা হস্তান্তর করা হবে।
এ বিষয়ে বুধবার সন্ধ্যায় হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, মিজানুর রহমানের পাঠানো কিটগুলো বৃহস্পতিবার পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ওই তরুণ ছাড়াও গোলাম রব্বানী নামে অপর একজন ৫০০ কিট পাঠানোর কথা জানিয়েছেন। সেগুলো দেশে আনার কাজ চলছে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.