Beanibazarview24.com
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে যখন বিশ্ব স্থবির ঠিক সেই সময় বাংলাদেশের জন্য কিছুটা আশার কথা শুনিয়েছেন ইতালির এক চিকিৎসক।
ইতালির ইউনিউভার্সিটি অব বলোনিয়ার ডিপার্টমেন্ট অব মেডিকেল অ্যান্ড সার্জিকেল সায়েন্সের প্রফেসর ড. মারিনা টাডোলিনি বলেন, গ্রীষ্মকালীন দেশ হওয়ায় বাংলাদেশের অবস্থা হয়তো ইতালি বা ইউরোপের মতো ভয়াবহ হবে না। বাংলাদেশে গরমের কারণে ভাইরাসের সংক্রমণ অনেকটাই কম হবে বলে মনে করেন তিনি।
১০-২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এ ভাইরাস তুলনামূলক বেশি ছড়ায় বলে মনে করেন ড. মারিনা।
আর তরুণপ্রজন্মের জনসংখ্যা বেশি হওয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা যেমন কম থাকবে তেমনি কম থাকবে মৃত্যুর হারও। আর কোনো রকমের লক্ষণ ছাড়াই করোনা শরীরে থাকতে পারে দিনের পর দিন। অনেক রোগীর ক্ষেত্রে তিনি এমনটা দেখেছেন।
পিপিইর বিষয়ে তিনি বলেছেন, ১ মিটারের বেশি দূরত্বে থাকলে পিপিই ছাড়াই আক্রান্ত রোগীর সিম্পটমেটিক চিকিৎসা সম্ভব।
তরুণ রোগীদের জন্য হয়তো কোনো প্রকার ওষুধেরও দরকার নেই। প্রয়োজনে এজিথ্রোমাইসিন ব্যবহার করা যেতে পারে। করোনা মোকাবিলায় যথারীতি শারীরিক যোগাযোগ অবশ্যই এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন ড. মারিনা।
ঘরের বাইরে থেকে কোনো জিনিস ধরলেই, যেমন বাজারসদাই ইত্যাদি ধরার পর অবশ্যই হাত ধুতে হবে খুব ভালোভাবে। এমনকি কাঁচা শাকসবজি-ফলমূলও বিশুদ্ধ পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে বলেছেন তিনি।
ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশি লেখক মাহমুদ মনির সঙ্গে কথা হয় ড. মারিনার সঙ্গে। তিনি এসব বিষয় তুলে ধরেন। বাংলাদেশের জন্য এটি মোটামুটি একটা সুখবরই। বাংলাদেশে আক্রান্ত সংখ্যা ৪৯ জন, মারা গেছেন ৫ জন আর সুস্থ হয়েছেন ১৯ জন।
এ পর্যন্ত ইতালিতে আক্রান্ত ১ লাখ ১ হাজার ৭৩৯ জন, মারা গেছেন ১১ হাজার ৫৯১ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১৪ হাজার ৬২০ জন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.