Beanibazarview24.com
করোনায় আ’ক্রা’ন্ত হয়ে টরন্টোপ্রবাসী মুক্তিযো’দ্ধা হাজী তুতিউর রহমান মারা গেছেন। তিনি করোনায় মৃ’ত্যুবরণকারী দ্বিতীয় বাংলাদেশি কানাডিয়ান। গতকাল রোববার (৫ এপ্রিল) স্থানীয় সময় রাত ১০টায় টরন্টোর একটি হাসপাতালে মা’রা যান তিনি।
মৌলভীবাজার অ্যাসোসিয়েশন অব টরন্টোর উপদেষ্টা, মুক্তিযো’দ্ধা তুতিউর রহমান ছিলেন বাংলাদেশি কমিউনিটির অত্যন্ত পরিচিত মানুষ। তিনি মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার গল্লাসাংগন গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
তুতিউর রহমানের শ্যালক আবদুল জব্বার প্রথম আলোকে জানান, আট–নয় দিন আগে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। আইসিইউতে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে ছিলেন কয়েক দিন। তার অবস্থার খুব একটা উন্নতি হচ্ছিল না বলে পরিবারকে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
তুতিউর রহমান স্ত্রী, প্রকৌশলী ছেলে তামিন রহমান, বড় মেয়ে তানি রহমান (স্থানীয় হাসপাতালে নার্স), হাইস্কুলে পড়ুয়া ছোট মেয়ে তাইরা রহমানসহ গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। জানাজা ও দাফনের স্থান নিয়ে পরিবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি।
টরন্টোতে আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও দেশীয় কমিউনিটিতে কাজ করার সুবাদে তিনি পেয়েছেন অসংখ্য গুণগ্রাহী। তাঁর অকালপ্রয়াণে বাংলাদেশি কমিউনিটিতে শো’কের ছা’য়া নেমেছে।
তুতিউর রহমানের মৃত্যুর খবরে তাঁর প্রতি শ্র’দ্ধা ও শো’কসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে টরন্টোতে নিযুক্ত বাংলাদেশ কনসাল জেনারেল নাঈম উদ্দিন আহমেদ প্রথম আলো বলেন, ‘জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানকে আমরা করোনার কারণে হারিয়েছি। আমরা গভীরভাবে শো’কাহ’ত। মুক্তিযো’দ্ধা হিসেবে তাঁর প্রতি জাতির শেষশ্রদ্ধা নিবেদনের আনুষ্ঠানিকতা নিয়ে আমরা প্রচেষ্টা শুরু করেছি।
করোনাভাইরাসের সংক্র’মণ রোধে অন্টারিও প্রাদেশিক সরকার নানা বিধিনি’ষেধ জারি করেছে। আমরা এই পরিস্থিতির মাঝে নিয়ম মেনে শ্রদ্ধা নিবেদনের চেষ্টা করছি।’
এদিকে সংগঠনের আজীবন সদস্য মুক্তিযো’দ্ধা তুতিউর রহমানের মৃ’ত্যুতে তাঁর প্রতি শ্র’দ্ধা ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন অব টরন্টোর সভাপতি দেবব্রত দে তমাল ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুব চৌধুরী।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.