Beanibazarview24.com
বিমানবন্দরে বিদেশগামী কিংবা বিদেশফেরত যাত্রীদের মধ্যে অনেকে ব্যাগেজের গায়ে নিজের ফোন নম্বর লিখে রাখেন। এতে প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা আছে। কারণ এসব ফোন নম্বর সংগ্রহ করে প্রতারকরা। এরপর যাত্রীদের কাছে বিমানবন্দরের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ফোন দেয় তারা। ফোনে যাত্রীদের কাছে ব্যাগেজের ওজন বেশি হয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে অতিরিক্ত টাকা দাবি করা হয়। এসব প্রতারক থেকে সাবধান।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এমন দুই প্রতারক ধরা পড়েছে। তারা হলো মনির উদ্দিন ও দুখু মিয়া। যাত্রীদের ব্যাগেজের ওজন সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতারণা করে টাকা আদায় করতো তারা। শনিবার (৫ জানুয়ারি) সকালে এই দুই প্রতারককে আটকের পর আদালতে প্রেরণ করে বিমানবন্দরের আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন। তারপর তাদের ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সূত্র জানায়, যাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে দুই প্রতারককে আটক করা হয়। পরে বিমানবন্দরের ভ্রাম্যমাণ আদালতে প্রেরণ করা হলে তাদের ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জামিল আহমেদ।
বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এএপিবিএন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রহমান বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছিল মনির উদ্দিন ও দুখু মিয়া নামের দুই প্রতারক। তারা যাত্রীদের ফোন করে বিমানবন্দরের কর্মকর্তা পরিচয় দিতো। ব্যাগের ওজন বেশি হয়ে গেছে, টাকা না দিলে ব্যাগ যাবে না— এসব কথা বলতো যাত্রীদের।
১ থেকে ২ হাজার টাকা দাবি করতো তারা। কম টাকা হওয়ায় অনেকে বিশ্বাস করে তাদের কাছে বিকাশে টাকা পাঠাতেন। বিদেশগামী যাত্রী হওয়ায় তারা সাধারণত অভিযোগ করেন না। তবে কয়েকজন যাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারকদের অনুসরণ করা হয়। আজ তাদের আটক করে আদালতে দেওয়া হলো।’
এএপিবিএনের এই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনে করেন, প্রতারণা রোধে যাত্রীদের সচেতনতা জরুরি। কেউ ফোনে টাকা দাবি করলেও মুহূর্তেই বিশ্বাস না করে যাচাই করা উচিত। তার পরামর্শ, একইসঙ্গে পুলিশের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ জানালে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.