Beanibazarview24.com
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার বহুল আলোচিত কলেজ ছাত্রী তন্নী রায়কে ধর্ষণের পর গলা টিপে হত্যা মামলার আসামী রানু রায়কে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার (৭ জানুয়ারি) দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ সিলেট এর বিচারক রেজাউল করিমের আদালতে এ রায় দেন। বিভাগীয় স্পেশাল পিপি কিশোর কুমার কর আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তির বিষয়ে আইনগত যুক্তি উপস্থাপন করেন।
আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের এক বছর সাত মাস পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ কর্তৃক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি স্থানান্তর করা হয়। এরপর ২০ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।
তন্নী রায়ের বাবা বিমল রায় আমাদের সময়কে জানান, আমার মেয়ে তন্নীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আসামী মৃত্যুদণ্ড দেওয়ায় আমরা সন্তুষ্ঠ। তবে রায় দ্রুত কার্যকর করার জোর দাবি জানান তিনি। যাতে করে তার এমন শাস্তি দেখে দেশে খুন, ধর্ষন ও নানা অপরাধমূক কর্মকাণ্ড কমে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুর দেড়টার দিকে তন্নী রায় নবীগঞ্জ শহরতলীর শেরপুর রোডস্থ ইউকে আইসিটি ইন্সটিটিউট কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বেড় হয়ে আর ফেরেনি। তার নিখোঁজের ঘটনায় নবীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন তন্নী রায়ের বাবা বিমল রায়। সাধারণ ডায়েরী করার ৩ দিনের মাথায় কলেজ ছাত্রী তন্নী রায়ের বস্তাবন্দি লাশ নবীগঞ্জ শহরতলীর একটি নদী থেকে উদ্ধার করে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.