Beanibazarview24.com
গোলাপগঞ্জ উপজেলার শরীফগঞ্জ ইউনিয়নের কালিকৃষ্ণপুর ও ইসলামপুর গ্রাম নিয়ে গড়ে উঠেছে দুধের বাজার। এ বাজারের নাম হাকালুকি দুধের বাজার। সারাবছরই এ বাজারে দুধ পাওয়া গেলেও শুকনো মৌসুমে দুধওয়ালা এবং ক্রেতার ভীড় বেড়ে যায়। তাছাড়া যোগাযোগ মাধ্যম অনুন্নত হওয়ার কারণে দুধওয়ালা বা দুধ বিক্রেতা উপযুক্ত মূল্য পান না এমন অভিযোগ রয়েছে তাদের।
কালিকৃষ্ণপুর ও ইসলামপুর গ্রামের সহস্রাধিক গরুর মালিকের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে এ দুধের বাজার। দীর্ঘ ১৫/২০ বছর থেকে গড়ে ওঠা এ বাজারে বর্তমানে প্রতিদিন ৩০/৪০ মণ দুধ কেনা-বেচা হয়ে থাকে। স্থানীয়রা জানান, পার্শ্ববর্তী বিয়ানীবাজার, বড়লেখা উপজেলা সহ সিলেট জেলার পাইকাররা এসে এখান থেকে দুধ নিয়ে যায়। যোগাযোগ মাধ্যম ভালো না হওয়ায় এ বাজারে প্রতিদিন পানির দামে খামারিরা গরুর দুধ বিক্রি করে থাকেন।
উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল হিসেবে খ্যাত হাকালুকি বাজারে ক্রেতা আগমন কম হওয়ায় খামারিদের প্রতি লিটার দুধ ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি করতে হয়। এতে তাদের পোষায়না বলে জানান গরুর মালিকরা। তবে মাঝে-মধ্যে পাইকার বাজারে বেশি এলে সেদিন ৪৫/৫০ টাকা লিটার প্রতি দাম পাওয়া যায়। উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার পথ অটোরিক্সা বা বাসে ভাদেশ্বর মোকাম বাজার হয়ে শেখপুর কাদিপুর কুশিয়ারা নদী খেয়া ঘাট যেতে হয়।
খেয়া পার হয়ে সেখান থেকে ৩-৪ কিলোমিটার হেঁটে গেলে পাওয়া যাবে হাকালুকি হাওড় পাড়ে এই দুধের বাজার। এখানে প্রতিদিন সকাল ৭টায় দুধের হাট বসে। এবং প্রায় এক ঘন্টা ব্যাপী স্থায়ী থাকে। আবার কোন কোন দিন সকাল ১০টা পর্যন্তও হাট দীর্ঘস্থায়ী হয়ে থাকে।
ইব্রাহীম আলী নামে এক খামারী বলেন, আমার ২০টি দুধেল গাভী রয়েছে। আমি প্রতিদিন প্রায় ৪মণ দুধ নিয়ে বাজারে আসি। বাজারে দুধের পাইকার কম থাকায় অনেক সময় সস্তায় দুধ বিক্রি করে ঘরে ফিরতে হয়। খাতির আলী নামে অপর এক দুধ বিক্রেতা বলেন, কাদিপুর, ইসলামপুর, কালিকৃষ্ণপুর রাস্তাটি পাকা হলে দুধের ক্রেতারা স্বাচ্ছন্দ্যে যেমন দুধ সংগ্রহ করতে পারতেন। তেমনি আমার মত আরও যারা খামারি রয়েছেন, তারাও বাজারে দুধ এনে বিক্রি করে উপযুক্ত দাম নিয়ে ঘরে ফিরতে পারতেন।
শরীফগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ মুহিত হীরা জানান, উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল হওয়ার কারণে বিক্রেতারা প্রকৃত মূল্য পাচ্ছে না। এখানে খামারি ছাড়াও প্রায় প্রতিটি ঘরেই দু’চারটি করে দুধেল গাভী রয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হলে খামারিরা দুধের প্রকৃত মূল্য লাভ করবে।
সূত্রঃ সিলেটভিউ২৪ডটকম
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.