Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

কুয়েতে ৩ হাজার ‘দালাল’কে গ্রেফতারের নির্দেশ








প্রায় ৩ হাজার আদম দালালকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছে কুয়েত সরকার। এর মধ্যে বড় একটি অংশই বাংলাদেশি। অন্যরা পাকিস্তান, মিশর, ভারতের। এসব সিন্ডিকেট চক্রের তালিকা করেছে দেশটির সরকার। সরকারের এ নির্দেশনাকে কুয়েতের সাম্প্রতিক ইতিহাসে মানবপাচার সংক্রান্ত অন্যতম ‘সিরিয়াস কেস’ বলে মনে করা হচ্ছে।



তিনটি ভুয়া কোম্পানির মাধ্যমে এই প্রবাসীরা কুয়েতে প্রবেশ করেছে। ‘ফ্রি ভিসা নামক ভুয়া ভিসায়’ তাদের কুয়েতে আনা হয়েছে। এই প্রবাসীদের কোন রকম চাকরি ঠিক না করেই দেশটিতে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

দেড় থেকে ৩ হাজার কুয়েতি দিনার, বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪ লাখ থেকে সাড়ে ৮ লাখ টাকা দিয়ে একেকজন প্রবাসী কুয়েতে এসেছে।



আল-আনবা দৈনিকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত কয়েকদিনে মন্ত্রণালয় এমন প্রায় ৯০ জনকে গ্রেফতার করেছে; যাদেরকে ভুয়া কোম্পানির মাধ্যমে কুয়েতে আনা হয়েছে। এক্ষেত্রে কোম্পানিগুলো কর্মীদের কাজ থেকে বড় অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

সূত্র জানিয়েছে, মানবপাচার বিষয়ক প্রসিকিউটর অব ক্রাইমস ওই তিন প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারকে তলব করে। পরে তাদের জামিনে মুক্তি দেয়া হয়।



তবে মানব পাচারের মূলহোতা হিসেবে এক সিরিয়ান নাগরিককে শনাক্ত করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই ব্যক্তিই তিনটি ভুয়া প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিশাল সংখ্যক শ্রমিক কুয়েতে এনেছে এবং তাদের কোনো কাজ না দিয়েই দেশটিতে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

অবশ্য প্রতিবেদনে ওই সিরিয়ান গডফাদারের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। সূত্রগুলো জানিয়েছে, ডিরেক্টরেট জেনারেল অব রেসিডেন্স অ্যাফেয়ার্স জিব আল-শুইয়ুখ পরিদর্শন করেন। ওই সময় কয়েকজন কর্মীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা এ ধরনের ঘটনার কথা জানান।



ওই কর্মীরা অভিযোগ করেন, তাদের ভাগ্যে কোনও চাকরিই জোটেনি। চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কুয়েতে আনা হয়েছে। এজন্য তারা ভিসা ব্যবসায়ীদের প্রচুর টাকা দিয়েছেন।

ডিরেক্টরেট জেনারেল অব রেসিডেন্স অ্যাফেয়ার্স বিষয়টি নিয়ে এরপর তদন্ত শুরু করে। দেখা যায়, ওই তিনটি কোম্পানি একই উপায়ে তিন হাজারের বেশি সংখ্যক মানুষকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে কুয়েতে এনেছে। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহিত করা হয়। অনুসন্ধানের একপর্যায়ে কুয়েতে মানবপাচারের এক ভয়াল ও মর্মান্তিক চিত্র উঠে আসে।



পাবলিক প্রসিকিউশন বলছে, অবৈধ ভিসা ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হবে। এ অবস্থায় ভিসা ব্যবসায়ীদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

খবরটি প্রকাশিত হওয়ার পর কুয়েতে সক্রিয় বাংলাদেশি আদম পাচারকারীরাও গা-ঢাকা দিয়েছেন। অনেকেই পালিয়ে গেছেন বাংলাদেশে। আবার অনেকেই আত্মগোপন করে আছেন কুয়েতের বিভিন্ন স্থানে।





You might also like

Comments are closed.