Beanibazarview24.com
বড়লেখার মাধবকু- ইকোপার্ক ও জলপ্রপাতে বেড়াতে গিয়ে মিনিবাস উল্টে সুনামগঞ্জের ২০ জন পর্যটক আহত হয়েছেন। এদের ১৪ জনকে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদেরকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেছেন। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কাঁঠালতলী-মাধবকু- সড়কের গৌড়নগর এলাকায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। আহত পর্যটকরা অভিযোগ করেন বাস চালকের স্বেচ্ছাচারিতার কারণেই মারাত্মক এ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
গুরুতর আহতরা হচ্ছেন সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার শিমুলতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মোমিন, শিক্ষিকা খালেদা ইয়াছমিন, আজিজুন নাহার, মন্ডলিভোগ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হেলালুল ইসলাম, খালেদ মিয়া, নাবিহা জামান, প্রদীপ্ত কুমার চক্রবর্তী, হারিছুন নাহার, পারুল সেনাপতি, আনিকা তাহসিন, আব্দুল মমিন, লুৎফুর রহমান, আবু তোরাব, ছালেখা আক্তার প্রমূখ।
হাসপাতাল, আহত পর্যটক ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার মন্ডলিভোগ ও শিমুলতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক/শিক্ষিকা পারিবারিক ভাবে ২৮ জন একটি মিনিবাস যোগে মাধবকু-ে পিকনিকের উদ্দেশ্যে শনিবার সকাল আটটায় ছাতক থেকে রওয়ানা দেন।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মাধবকু-ের (গন্তব্যের) কাছাকাছি স্থানের রাস্তায় চালক দ্রুত গতিতে একটি এল আকৃতির টার্নিং নিতে গেলে মিনিবাসটি উল্টে পাশের জমিতে পড়ে যায়। এসময় বাস চালক ও হেলপার সটকে পড়লে পর্যটকরা বাসের ভেতর আটকা পড়েন। তাদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত বড়লেখা হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
ছাতক শিমুলতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহত আব্দুল মোমিন অভিযোগ করেন চালকের অদুরদর্শীতার কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। অলৌকিভাবে তারা বেঁচে গেছেন। এত দ্রুত গতিকে টার্নিং নেয়ার প্রয়োজনই ছিল না। আমরা ২৮ জন যাত্রীর প্রায় সকলেরই জখম হয়েছে। তবে ২০ জনের অবস্থা গুরুতর।
বড়লেখা থানার এসআই প্রভাকর রায় জানান, দুর্ঘটনায় আহত ১৩ জনের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনার পর থেকে চালক ও হেল্পার পলাতক। এব্যাপারে থানায় এখনও কেউ মামলা করেনি।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.