Beanibazarview24.com
কানাইঘাট উপজেলার কাদিরগ্রামের দরিদ্র আব্দুল মালিকের মেয়ে আমিনা বেগমের উপর যৌতুকের কারণে স্বামী তাজিম উদ্দিন কর্তৃক মধ্যযুগীয় কায়দায় অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গুরুতর আহত অবস্থায় আমিনা বেগম (১৯) কে তার পিত্রালয়ের লোকজন বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত ইউপির দরবস্ত দক্ষিণ গ্রামের তাজিম উদ্দিনের বাড়ির এক কক্ষ থেকে বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে কানাইঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
আমিনা বেগমের স্বজনরা জানান, প্রায় বছরখানেক পূর্বে দরবস্ত দক্ষিণ গ্রামের মৃত আমির আলীর পুত্র অটোরিক্সা সিএনজি চালক তাজিম উদ্দিনের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবীতে বেশ কয়েক বার স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন আমিনাকে নির্যাতন করে। আমিনার পিতা কানাইঘাটের কাদির গ্রামের দরিদ্র আব্দুল মালিক মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে যৌতুক বাবত মেয়ের জামাইকে একবার ৩০ হাজার টাকা প্রদান করেন।
তারপরও বিভিন্ন সময় পিত্রালয় থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশার জন্য মোটা অংকের টাকা এনে দেওয়ার জন্য আমিনাকে নির্যাতন করে তার স্বামী তাজিম। গত কয়েক দিন থেকে সিএনজি গাড়ী কিনার জন্য ১লক্ষ টাকা পিত্রালয় থেকে এনে দেওয়ার জন্য আমিনার উপর নির্যাতন শুরু করে তার স্বামী।
গত বুধবার রাত ১২ টার দিকে ১ লক্ষ টাকা যৌতুকের জন্য আমিনাকে প্রচন্ড মারধর করে এবং শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার চেষ্টা করে স্বামী তাজিম উদ্দিন। একপর্যায়ে কাঠের রুল দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে বসত ঘরের একটি কক্ষে আমিনাকে রশি দিয়ে বেঁধে রাখে পাষণ্ড স্বামী তাজিম।
আমিনা কোনোমতে সুযোগ পেয়ে মোবাইল ফোনে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে বিষয়টি পিতা আব্দুল মালিককে জানালে তিনি মেয়েকে উদ্ধার করার জন্য জামাই তাজিম উদ্দিনের বাড়িতে ছুটে যান। সেখানে জামাইয়ের সাথে মেয়ের কথা জিজ্ঞাসা করলে তাকেও মারধর করে তাজিম। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য নুর উদ্দিনের হস্তক্ষেপে আমিনাকে তার স্বজনরা উদ্ধার করতে সক্ষম হন।
এ ঘটনায় আমিনার পিতা জৈন্তাপুর মডেল থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
সূত্রঃ সিলেট ভয়েস
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.