Beanibazarview24.com
গ্রামের একাকি একটি বাড়িতে থাকেন ৮০ বছরের বৃদ্ধা এই মা । বিত্তবান ও বিসিএস ক্যা’ডার উচ্চশিক্ষিত ছেলেরা থাকেন বউ নিয়ে যার যার নিজস্ব বাসায়। মেয়েরা থাকেন স্বামীর বাড়ি। কিন্ত মায়ের স্থান হয়নি কারো কাছেই।
গ্রামের বাড়িতে ছোট্ট একটি ঘরে অনাহারে, অ’র্ধাহা’রে, অয’ত্ন আর অবহে’লায় মৃ’ত্যমুখে মা। দেখারও কেউ নেই।
ফেনী পৌরসভার ১৫ নং ওয়ার্ড মধুপুর থেকে মৃদুল সাহা নামের এক বৃ’দ্ধা মাকে উ’দ্ধার করে মঙ্গলবার বিকেলে ফেনী জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ পোদ্দার বাড়ির ওই বৃ’দ্ধা মাকে উ’দ্ধার করে। এমন ঘটনায় স্থানীয়রা ঘৃ’ণা জানায় উচ্চশিক্ষিত এই পরিবারকে।
ফেনীর সিভিল সার্জন হাসান শাহরিয়ার করিব জানান, বৃ’দ্ধা মা ভবিষ্যতে স্ট্রো’কসহ বিভিন্ন রোগে পড়তে পারেন। তাকে অবজা’রবেশনে রাখা হয়েছে।
পুলিশ সুপার এস.এম. জাহাঙ্গীর আলম সরকার জানান, এই বৃ’দ্ধা মাকে সন্তাররা মেরে ফেলার চক্রা’ন্ত করছিল কি না তা দেখা হচ্ছে। ত’দন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পরে ওই মায়ের দেখাশুনার দায়িত্বভার গ্রহণ করে ফেনীর সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘সহায়’।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সহায়ের প্রধান সমন্বয়ক মঞ্জিলা আক্তার মিমি বলেন, অসহায় মায়ের পাশে আছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সহায়ের সদস্যরা। সার্বিক দেখাশুনা মাধ্যমে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে।
চিকিৎসার ভার গ্রহণ করেছেন ফেনী জেলা সিভিল সার্জন ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির ও জেলা পুলিশ সুপার এস.এম জাহাঙ্গীর আলম সরকার।
স্থানীরা জানায়, দীর্ঘ ৪ বছর ধরে মধুপুরের ওই বাড়িতে একা থাকেন বৃ’দ্ধা মা। তার বড় ছেলে বাপ্পি সাহা ও বিপুল সাহা ফেনী শহরের চালের আ’ড়তের মালিক। তাদের বাবা হরিপদ সাহার রেখে যাওয়ার চালের আ’ড়তে ব্যবসায়ের কাজে ব্যস্ত থাকায় মায়ের খোঁজ নেননি তারা। স্ত্রী-ছেলে মেয়ে নিয়ে অন্য বাসায় থাকেন তারা।
অপর ছেলে সুশান্ত সাহা বিসিএস ক্যা’ডার। থাকেন কক্সবাজার (অতিরিক্ত উপপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কক্সবাজার)। মেয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা শর্বরী সাহা ও গৃহিনী সুমি সাহা থাকে শ্বশুরালয়ে।
এদিকে মায়ের প্রতি সন্তানদের এমন অমা’নবিক আচ’রণে ক্ষু’ব্ধ এলাকাবাসী এ ঘটনার দৃ’ষ্টান্তমূলক শা’স্তি দা’বি জানিয়েছে।
অপরদিকে একাধিক উপায়ে চেষ্টা করেও এ ব্যাপারে সন্তানদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসী বলছে, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্তানদের আ’টক করেছে পু্লিশ। অবশ্য পুলিশ আ’টকের ব্যাপারে গণমাধ্যমকে কিছু জানায়নি।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.