Beanibazarview24.com
বউমার চাকরি করা পছন্দ ছিল না পরিবারের। দেরিতে ঘুম থেকে ওঠা নিয়েও ছিল আপত্তি। আর সে কারণে প্রতিদিন শুনতে হত কটূক্তি। চলত মানসিক নির্যাতন। শুক্রবার সকালে উদ্ধার হল ব্যাঙ্ককর্মীর বধূর ঝুলন্ত দেহ। তাঁর রহস্যমৃত্যু ঘিরে উঠছে প্রশ্ন, খুন না আত্মহত্যা?
২০১৭ সালে ভারতের মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা রোমিতা চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন পাটুলির শুভ্রজ্যোতি চট্টোপাধ্যায়।
শুভ্রজ্যোতি ব্যাঙ্কে কর্মরত। অতিসম্প্রতি ব্যাঙ্কে কাজ পেয়েছিলেন রোমিতাও। তারপর থেকে শুরু হয় অশান্তি। তাঁর দেরিতে ঘুম থেকে ওঠা নিয়েও আপত্তি করেছিলেন শ্বশুরবাড়ির লোকজনরা।
রোমিতার বাপের বাড়ির দাবি, বিয়ের পর থেকে মেয়ের উপরে চলত নির্যাতন। সম্প্রতি রোমিতা চাকরি পাওয়ার পর অত্যাচার আরও বেড়ে গিয়েছিল।
শুক্রবার সকালে রোমিতার বাপের বাড়িয়ে খবর যায়, মেয়ে অসুস্থ। তাঁকে কলকাতার পিয়ারলেস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাড়ির লোকজন হাসপাতালে এসে জানতে পারেন, মারা গিয়েছেন রোমিতা।
নিহত রোমিতার পরিবারের অভিযোগ, নানা অছিলায় নমিতার উপরে অত্যাচার করতে তাঁর শ্বশুর দেবুল চট্টোপাধ্যায় ও শাশুড়ি শিবানি চট্টোপাধ্যায়।
শ্বশুর ও শাশুড়িই রোমিতাকে খুন করেছে বলে অভিযোগ পরিবারের লোকজনের। তাঁদের বিরুদ্ধেও পাটুলি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস৷ শনিবার বধূর দেহের ময়নাতদন্ত করা হবে৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরেই তার মৄত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে৷
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.