Beanibazarview24.com
সাভারের আশুলিয়ায় নয় বছর বয়সী এক মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ করে সেই দৃশ্য ধারণ করেছেন মসজিদের এক ইমাম। রবিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে আশুলিয়ার দোসাইদ এলাকার তারিমুল কোরআন মহিলা মাদ্রাসার পাশে অভিযুক্ত ইমামের বাড়িতে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।
আশুলিয়ার থানার এসআই ফুলমিয়া খান বলেন, ঘরে কোনো লোক না থাকায় মোবাইলে শিক্ষার্থীর নগ্ন ছবি ধারণ করে আব্দুলল্লাহ আল মামুন। ওই নগ্ন ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। এরপর ধর্ষণের ছবি আব্দুল্লাহ আল মামুন মোবাইলে ধারণ করে। আর ওই ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় মামুনের সহযোগী জালাল মাদবর। বিষয়টি জানতে পেরে মেয়েটি বাবা হাসান শেখ বাদী হয়ে আশুলিয়ার থানার নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন।
পুলিশ জানায়, ওই মাদরাসা ছাত্রী দোসাইদ এলাকায় বাবা মার সাথে ভাড়া থেকে একটি মাদরাসায় পড়াশুনা করতেন। এছাড়া পাশাপাশি স্থানীয় বাইতুল মামুন জামে মসজিদের ইমাম আব্দুল আল মামুনের কাছে মক্তব পড়তেন ওই ছাত্রী। সকালে মক্তব পড়া শেষে ওই ছাত্রীর নগ্ন ছবি তুলে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মসজিদের ইমাম নিজের ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে এবং সেই দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করে রাখে।
বিষয়টি কাউকে জানালে তাকে হত্যা করে লাশ গুম করারও হুমকি দেওয়া হয়। পরে ওই ছাত্রী বাসায় ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়লে তার মাকে ঘটনা খুলে বলে। খবর পেয়ে রাতে আশুলিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ছাত্রীকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টাফ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করে।
ছাত্রীর মা লিপি আক্তার বলেন, আমার মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনাটি প্রথম দিকে প্রভাবশালীদের চাপের মুখে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর বিষয়টি জানাজানি হয়।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ রিজাউল হক দিপু জানান, ‘আমরা ভিকটিম এবং তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। শিশুটির শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। তাকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান চলছে।’
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.